উখিয়া হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শারদীয় দুর্গোৎসব
শহিদুল ইসলাম,উখিয়া(ককসবাজার) : ককসবাজারের উখিয়ার কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা শরনাথী ক্যাম্পে শারদীয় দুর্গো পুজাকে ঘিরে উৎসবের অামেজ বিরাজ করতে দেখা গেছে। ছোট ছেলে মেয়েরা নতুন পোষাক পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেছেন। হিন্দু রোহিঙ্গা নারীরা নিজেদের বাড়ী ঘর পরিস্কার করছে। গত সোমবার থেকে ককসবাজার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হয়।
হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বিলাসী (২৯), জ্ঞান নন্দ পাল (৩৫)বলেন,মিয়ানমারের এ ভাবে পূজা করতে পারতাম না। এত সাজসজ্জা ছিল না। তবে ঘট পূজা করত। সোনা বালা (৪৫)বলেন, মিয়ানমারের পূজা হত ঠিক। তবে প্রতিমা নিয়ে পূজা করতে পারতাম না। কারন প্রতিমা তৈরি করার মত কোন কারিগর ছিল না। ৮বছরের শিশু রাখাল শর্মা বলেন,নতুন জামা পেয়ে খুশি। হাসি মুখে চলে গেল।
ভজ বাল (৪৫)বলেন,এত ধরনের পূজা অার কোনদিন দেখেনি।বস্ত্র পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন,দুইটি শাড়ী,একটি লুঙ্গি পেয়েছি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি স্বপন শর্মা বলেন,মিয়ান মার থেকে পালিয়ে অাসা হিন্দু রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। গত সোমবার বিকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ১০২ পরিবারের মাঝে শাড়ী,লঙ্গি বিতরন করেছেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ -৭১ পক্ষ থেকে সেলোয়ার কামিজ,শার্ট, প্যান্ট দেওয়া হয়েছে।
হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সুমন্দ বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমা দেন। সবাই কাপড় পেয়ে খুশি। নিরাপওায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বিজিবি ও অানসার। কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক মধুরাম পাল বলেন যথাযোগ্য মযাদায় দুগা পূজা পালন করছি। কোন ভয় ভীতি নেই বললে চলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ককসবাজারের উখিয়ার কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূজা মন্ডব পরিদর্শন করেন ককসবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন।
এসময় সাথে ছিলেন ককসবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবি এম মাসুম হোসেন,উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চেীধুরী রবিন, সহকারী কমিশনার ভুমি একরামুল ছিদ্দিক,জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রনজিত দাশ,জেলা সাধারন সম্পাদক বাবুল শর্মা, উখিয়া থানার ওসি অাবুল খায়ের, উখিয়া উপজেলা অাওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারমান জাহাংগীর কবির চেীধুরী ও উপজেলা পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক এড: রবিন্দ্র দাশ রবি। ককসবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৩০ প্যাকেট, চাল,ডাল,তেল, শাড়ী, লঙ্গি বিতরন করেছেন।