ফটিকছড়িকে ২টি উপজেলা করা উচিতঃ পারভেজ
গোলাম শরীফ টিটুঃ তারুণ্য হল বর্ষার খরস্রোতা নদী। নদী হল প্রকৃতির সুধাধারা। তারুণ্য ধারন করে সত্য প্রতিষ্টার প্রেরণা, ভেঙ্গে গড়ার আকাঙ্খা। চট্টগ্রামের একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উত্তর জেলার সভাপতি ছিলেন ড. মাহামুদ হাসান। তারই সুযোগ্য পুত্র আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ। বেগম সাজেদা হাসানের প্রতিষ্ঠিত ডক্টর মাহমুদ হাসান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পারভেজ।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মালয়েশিয়া শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাঁচলাইশ থানা শাখার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, ফটিকছড়ির আব্দুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও নুর আহমদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সহ অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিচরন আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজের। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এর ফটিকছড়ি শাখার সাধার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
এ ছাড়া হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির ১০ স্কুলে ২ লক্ষ টাকা করে দিয়ে দাতা সদস্য হয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে সিটি নিউজ বিডি ডট কমকে একান্ত সাক্ষাতকারে পারভেজ বলেন,’ রাজনীতি করছি। রাজনীতির পরীক্ষ হল নির্বাচন। আমার বাবার আদর্শকে বুকে ধারন করে মানুষের সেবায় রাজনীতির পথে হাঁটছি। বাবা রাজনীতির মাঠে ছিলেন সক্রিয়। মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ে আমাদের ফেলে চলে গেলেন পরপারে। বাবার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর শোষনহীন রাজনীতির অর্থবহ চর্চার। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেধার মধ্যে ছিলেন সাহসী সময়ের একজন ব্যক্তিত্ব।
মানুষের পাশে আছি। দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাআল্লাহ ফটিকছড়ি আসন আমি উপহার দিতে পারব। এমপি হওয়া বড় কথা নয়, দলীয় ঐক্য ও মানুষের সেবাই আমার লক্ষ্য। আমার বাবার আদর্শের রাজনীতি, ভাবনা, চেতনাকে সমুন্নত রেখে ফটিকছড়ির মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছি। পারভেজ বলেন,’ আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। সেদিন তাঁকে লাঞ্চিত করার সুযোগ দিয়ে, আওয়ামী লীগের গ্রুপিং থেকে সৃষ্ট একটি সমস্যা।
তিনি ফটিকছড়িতে মেহমান হিসেবে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। যারা তাঁকে অপমান করতে চেয়েছিল তারা সেদিন ব্যর্থ হয়েছে। পথসভা সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। বিশিষ্ট সমাজ সেবক পারভেজ বলেন, আমার বাবা ড. মাহমুদ হাসানের অসমাপ্ত কাজগুলো আমি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসার জন্য, ঘরবাড়ি নির্মান সহ নানা কর্মকান্ড উনার মত হয়তো করতে পারছি না তবে চলমান রেখেছি তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল একটি মহিলা কলেজ করা।
আগামী বছর থেকে সেটার কাজ শুরু করব ইনশাআল্লাহ। একাডেমি প্রতিষ্টা করা। একাডেমির মধ্যে একটি শিশুর স্কুল জীবন থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করা। একাডেমির কাজ শুরু করেছি। মানুষের জন্য, মানবতার কল্যানে কাজ করাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বিশিষ্ট সংগঠক ও রাজনীতিবিদ পারভেজ বলেন, ফটিকছড়িতে বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। ফটিকছড়ি ফেনী জেলার থেকে বড়।
এই উপজেলাকে দুইভাবে বিভক্ত করা প্রয়োজন। যেমন দুটি থানা হয়েছে। সেভাবে দুটি উপজেলা হলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ফটিকছড়িতে আমাদের দলীয় এমপি প্রয়োজন। যিনি সব সময় জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবেন। গনমানুষের নেতা হয়ে একজন দলীয় জনপ্রতিনিধি যেন মানুষের ও এলাকার উন্নয়ন করতে পারেন। বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজ সেবক পারভেজ বলেন,’ ওয়ান ইলেভেনের সময় ফটিকছড়িতে আমার বাবা ড. মাহমুদ হাসান একাই ছিলেন সক্রিয়। অনেক নেতা তখন এলাকায় ছিলেন না। দু:সময়ে আওয়ামী লীগের কান্ডারীর ভুমিকা পালন করেছেন তিনি’।
বিশিষ্ট সংগঠক, দানবীর ও সমাজ সেবক আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ বলেন,’আমার বাবা যে ফটিকছড়ির মানুষের খুব আপন ছিলেন, জনপ্রিয় ছিলেন তা বুঝিনি? কিন্তু তার মৃত্যুর পর আমাদের কে মানুষ যেভাবে সম্মান ও ভালবাসা দিয়েছে তাতে আমরা অভিভুত হয়েছি। উনার মৃত্যুর পর ফটিকছড়িবাসী আমার বাবার প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছে অভাবনীয় ভাবে। আমরা এখন যে সম্মান পাচ্ছি তা আমার বাবার কারনে। আমার বাবা এমপি না হলেও অনেক মর্যাদা নিয়ে ফটিকছড়িবাসীর কাছে অমর হয়ে আছেন।
তিনি বলেন,’ আমার বাবা ছিলেন আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতণায় উদ্বুদ্ধ রাজনৈতিক আদর্শের এক সৈনিক। কর্মের ভেতরেও রাজনীতির মাঠ হতে কখনো পিছপা হননি তিনি। অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। জাতীর পিতার সোনার বাংলা বির্নিমানের তেজোদ্দীপ্ত , অগ্নিমন্ত্রের সংগ্রামী জীবন অতিবাহিত করেছেন তিনি। নিজ দল আওয়ামী লীগের প্রতি ছিল অকুন্ঠ ভালবাসা, স্বদেশ প্রেম, ফটিকছড়ির মাটি ও মানুষের প্রতি আন্তরিকতা, সহানুভুতি, শ্রদ্ধা-ভালবাসা ও স্নেহ মমতা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তিনি যেমন আমাদের কাছে স্বরণীয় হয়ে আছেন, সেভাবে তার প্রতি মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা চিরকাল থাকবে।