সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ৪ নভেম্বর

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আগামী ৪ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। সেই দিনই তিনি তফসিল ঘোষণা করবেন বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর ভোটগ্রহণ হতে পারে ডিসেম্বরের শেষভাগে।

সিইসির ভাষণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জানি না। বলতে পারব না।’

বৃহস্পতিবার ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’ এ বিষয়ে গত রোববার ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে ইসির সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেছি। তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইসির সভায় তফসিল নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রের প্রধানের অনুমতি নিয়েই আমরা তফসিল ঘোষণা করব।’

জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সিইসি ও অপর নির্বাচন কমিশনাররা। সেখানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবেন হুদা কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৪ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। সে সময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। তবে ওই ভাষণ আগামী ৩ নভেম্বর ইসি ভবনে রেকর্ড করা হবে। ইসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিটিভি মহাপরিচালকের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণদানকালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন সাবেক সিইসি রকিব উদ্দীন আহমেদ। ওই তফসিল অনুযায়ী ভোট হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। অবশ্য সেই নির্বাচন বর্জন করে তৎকালীন সংসদের বিরোধী দল বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলটির অংশগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। কেননা আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যালট পেপার মুদ্রণ বাদে প্রায় সব কাজই সম্পন্ন। এ বিষয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আগামী ৪ নভেম্বর ইসির কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই দিনই সভা শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ৪ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হলে ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে, অর্থাৎ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর— এই তিন দিনের যেকোনো একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগের জাতীয় নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সাধারণ তফসিল ঘোষণার পর ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল রকিব উদ্দিন কমিশন। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৫ জানুয়ারি। ওই বছর, তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ইসি সূত্র জানায়, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা আগামী ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ওই সভায় ১২টি আলোচ্যসূচি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ভোটকেন্দ্র স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার, পার্বত্য চট্টগ্রাম/দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়া, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা, ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ ইত্যাদি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.