ঢাকায় লাখো নবীপ্রেমী মাইজভান্ডারীর জশনে জুলুস

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : লাখো নবীপ্রেমী জনতার অংশগ্রহণে ঢাকায় আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার আয়োজনে জশ্নে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ২১ নভেম্বর রাজধানীর সহোরওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জশ্নে জুলুসে নেতৃত্ব দেন এবং শান্তি মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, এই সরকারের অধীনে, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুশাসনসহ সব কিছুতেই শান্তি ফিরে এসেছে। সমস্ত ইসলামী দলগুলো প্রধানরমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

সত্যিকারের ধর্মপ্রিয় মানুষ কখনো সহিংস হতে পারে না। কিন্তু কিছু অতি উৎসাহিত মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে। সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। এই ধরণের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশে আরো বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আমির হোসেন আমু।

সমাবেশে হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন মানবজাতিসহ জগৎবাসীর জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ স্বরূপ। প্রিযনবীর (দ.) শুভাগমন না হলে সৃষ্টি জগৎ অস্তিত্বই লাভ করতো না। মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমনের মূল উদ্দেশ্যই হলো একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ স¤প্রীতিময় মানবিক বিশ্ব সমাজ গড়ে তোলা। আরবের অন্ধকার ও অজ্ঞানতার বিপরীতে তিনি শান্তি, সাম্য ও স¤প্রতির মানবিক বন্ধন গড়ে তুলে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন।

সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, অশান্তি-হানাহানির বিপরীতে বিশ্বকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে মহানবী (দ.), নবী-রাসূলসহ আধ্যাত্মিক মনীষীদের জীবনাদর্শের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বের মজলুম নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলোর প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান। সূফিবাদি সুন্নি জনতা ইসলাম নির্দেশিত শান্তি স¤প্রীতির উপর প্রতিষ্ঠিত বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং বাতিলদের মোকাবিলায় সুন্নিদের বৃহত্তর ঐক্য কামনা করেন।

কলেমা খচিত পতাকা, জাতীয় পতাকা ও আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভা-ারীয়ার পতাকাসহ নানা প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে জশ্নে জুলুস ও শান্তি মহাসমাবেশে লাখো ভক্ত জনতা অংশ নেয়। নারায়ে তকবির, রেসালত ও গাউছিয়তের স্লোগানে স্লোগানে নবীপ্রেমী জনতা মুখরিত করে রাখে রাজধানীর রাজপথ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকসহ বাতিল অপশক্তিকে প্রতিরোধের শপথ নেয় তাঁরা।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন, আমেরিকা হতে আগত ড. আহমদ তিজানী বিন ওমর, তিউনিসিয়া হতে আগত ড. মাজেন শরীফ, ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান। অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি-২ আসনে নির্বাচিত সাবেক এমপি মাজাহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এমএ মতিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম-মহাসচিব স.উ.ম আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্হাজ্ব মো: ইকবাল, আন্জুমানের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভা-ারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা হাসান রেজা, হযরত মাওলানা মুফতী খাজা বাকী বিল্লাহ আল-আজহারী প্রমুখ। পরিশেষে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লামা ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশের সমাপ্তি ঘটে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.