কর্ণেল অলি’র ছেলে সানিসহ আহত ১০

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া তেমহনী বৈদ্য বাড়ি এলাকায় ২০ দলীয় জোটের শরীক দলের প্রার্থী ‘ছাতা’ প্রতীকের কর্ণেল অলি’র সমর্থনে গণসংযোগ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলায় কর্ণেল অলি’র ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিসহ ১০ জনের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

আজ শনিবার ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে ২০ দলীয় শরীক দলের ‘ছাতা’ প্রতীকের প্রার্থী এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণেল অলি’র সমর্থনে গণসংযোগ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলায় কর্ণেল অলি’র ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানি (৪৭), ইউনিয়ন এলডিপি’র সভাপতি আবু ছৈয়দ (৫০), তার ছেলে আহমদ হৃদয় (২৭), বড় ভাই আবদুস সালাম (৫৫), কেওচিয়া শ্রমিক দলের সভাপতি মো. এনাম (৩৫), এলডিপি’র সহ-সভাপতি মো. আকবর (৫০), পথচারী সিরাজুল ইসলাম (৪২), চন্দনাইশ হাজী পাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ (২০), মোবারক আলীর ছেলে রবিউল করিম (২০), চন্দনাইশ সদরের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. বাবু (১৮)সহ ১০ জনের অধিক আহত হয়।

আহতদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর আবু ছৈয়দ, মো. হৃদয়, আবদুস সালাম, আবদুল আজিজ, মো. বাবুকে এবং কর্ণেল অলি’র ছেলে ওমর ফারুক সানিকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এলডিপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ তারা কর্ণেল অলি’র ‘ছাতা’ প্রতীক নিয়ে কেওচিয়া তেমহনী বৈদ্য বাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করাকালে একদল সন্ত্রাসী ২০টির অধিক মোটর সাইকেল, ৩টি পিক-আপ নিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে ত্রাসের সৃষ্টি করে এবং তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা লৌহার রড়, হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

এ সময় গণসংযোগকারী নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হলে কর্ণেল অলি’র ছেলে ওমর ফারুক সানিকে হকিস্টিক ও লাঠি-শোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা এলডিপি’র সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেছেন, গতকাল ১৫ ডিসেম্বর এলডিপি’র নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা থেকে এলডিপি’র একটি দল কর্ণেল অলি’র সমর্থনে অলি’র ছেলে ওমর ফারুকের নেতৃত্বে গণসংযোগ শুরু করে।

গণসংযোগ চলাকালে কলঘর, নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুপুরে তেমহনী বৈদ্য বাড়ি এলাকায় পৌছার পর ১৫/২০টি মোটর সাইকেল ও কয়েকটি পিক-আপ নিয়ে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে তাদের গণসংযোগের উপর হামলা চালায়।

এ সময় কর্ণেল অলি’র ছেলে ওমর ফারুকসহ ১০ জনের অধিক আহত হয়। এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শফিউল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এলডিপি’র লোকজনের সাথে কাদের সংঘর্ষ হয়েছে তিনি জানেন না। তবে গুলি বর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া এ পর্যন্ত থানায় কোন ধরনের অভিযোগ দেননি বলে জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.