নির্বাচন একটি প্রতিযোগীতা,প্রতিহিংসা-মারামারি নয়-সিইসি

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচনে প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান রেখে বলেছেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে, শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ও একে অপরের প্রতি সম্মান রেখে ধৈর্য সহকারে দায়িত্ব পালন ও আচরণ করেন। নির্বাচন একটি প্রতিযোগীতা। তার মানে প্রতিহিংসা-মারামারি কার্যক্রম নয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেনো কোন স্থায়ী শত্রুতার সৃষ্টি না হয়।নির্বাচন একটি খেলার মতো। দুই পক্ষ খেলতে নামে। একপক্ষ বিজয় হয়, আরেকপক্ষ পরাজিত হয়। সেভাবেই গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামে বিভাগীয় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে উল্লেখ করে কে এম নূরুল হুদা বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাড়ে ৩ হাজার প্রার্থীতার জন্য আবেদন করেছে। যা রেকর্ড সংখ্যক। ১৮৪৬ জন প্রার্থী বর্তমানে মাঠে রয়েছে। যেখানে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬ জনের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এসব তথ্য ও মাপকাঠির অর্থ হলো নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে।‘নির্বাচনের সময় যারা বিরোধীদল বা সরকারি দলে আছে তারা মিটিং, মিছিল, শোভাযাত্রা, রোডমার্চ, পথসভা করেন, মানুষের কাছে কাছে যান। কেউ কখনো তাদের বাধা দিয়েছে? তাই যদি না হয় তাহলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বা আছে- এই প্রশ্নের তো কোন অবকাশ নেই। কোথায় ফিল্ড নাই, কী ফিল্ড নাই, কীসের ফিল্ড নাই আমি বুঝি না।’

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করে সিইসি বলেন, এ বছর নির্বাচনে উৎসাহ উদ্দীপনা ব্যতিক্রম ও উৎসাহব্যাঞ্জক দেখি। এর কারণ রয়েছে। এটিকে স্বার্থকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এসময় সকলের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)শাহাদাত হোসেন ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ । এসময় চট্টগ্রাম বিভাগের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা,থানা নির্বাচনী কর্মকর্তা,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মোট ২৩ জন কর্মকর্তা নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ,পরিস্থিতি ও প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। তবে কয়েকজন ব্যতীত সব কর্মকর্তাই ইতিবাচক মতামত দেন।যদিও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান মঞ্চ থেকে বারবার মাঠের কর্মকর্তাদের সমস্যার কথাগুলো সিইসি কে জানাতে বলেন।

পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই সিইসি জানান,তাদের প্রতি অভিযোগ কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।প্রার্থী সমর্থকরা মূল ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে থাকেন।যা ঘটে তা বহুগুণ বাড়িয়ে ইসিতে নালিশ করেন।পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তারা মিডিয়া ট্রায়ালেরও শিকার হন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.