নির্বাচিত হলে সেবাসংস্থাগুলোকে নিয়ে একত্রে কাজ করবোঃ নওফেল

0

দিলীপ তালুকদারঃ নির্বাচিত হলে পাঁচটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রয়াত চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল।

ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় ইশতেহারই আমার নির্বাচনী ইশতেহার। দলীয় প্রার্থী হিসেবে এর বাইরে যাওয়া সমীচীন নয়।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই-কিছু বিষয় প্রাধান্য দেবো। একজন জনপ্রতিনিধির মূল কাজ আইন প্রণয়ন করা। নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে জনগণের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে কাজ করবো। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করবো। সরকারি কাজে জবাবদিহিতা থাকলে জনগণ উৎফুল্ল থাকে। সকল সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে একত্রে কাজ করবো।

চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবো। আমাদের নারী সমাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করবো। সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করবো।

সংবাদ সম্মেলনে নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখন আমাদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়, তাই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণে কাজ করবো।বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়।আমি নির্বাচিত হলে এডমিনাল্টি কোর্ট যাতে চট্টগ্রামে স্থাপন করা যায় তার জন্য কাজ করবো।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে আমাদের চট্টগ্রামের পরিচিতি। কিন্তু বাণিজ্যিক রাজধানীর মৌল উপকরণগুলো না থাকায় আমাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ হচ্ছে। বাণিজ্যিক রাজধানী করতে হলে বিশেষ আদালতগুলো চট্টগ্রামে থাকতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্র যদি এখানে না থাকে, তাহলে বাণিজ্যিক রাজধানী চলতে অক্ষম হবে।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক, নিয়মিত গবেষণা করে, সকল বিভাগীয় পর্যায়ের ৫ জন করে স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে পরামর্শ করে বিশেষ করে এলাকা ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ইশতেহার প্রনয়ন করেছেন। তাই আমার আলাদা কোন কিছু নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে  আমার নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রার্থীই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। কোন প্রার্থীকেই ছোট বড় ভাবার অবকাশ নেই। অনেক প্রার্থী মানুষের বাড়ী ঘরে নির্বাচনী স্টিকার পোস্টার লাগিয়ে, পোস্টারে দলীয় প্রধানের ছবি লাগিয়ে আচরণবিধি লংঘন করছেন কিন্তু আমি কোন অভিযোগ করিনি করবোও না।

বিরোধী প্রার্থী কারাগারে এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের শৈশব কেটেছে কারাগার টু কারাগার ঘুরে। আমার বাবাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হতো না। দেশের বিভিন্ন কারাগারে রাখা  হতো। তাই প্রতিটা কারাগারেই আমাদের যেতে হতো। তাই শৈশবে কারাগারগুলো আমাদের পিকনিক স্পটের মতো কেটেছে। তারপরেও পরিবারের একজন কারাগারে থাকলে পরিবারের সদস্যরা থাকেন চিন্তায়। আমিও তাদের সমবেদনায় সমবেথিত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.