পেশীতে খিঁচুনি কেন হয়, কমবে কিভাবে?

0

‘মাসল ক্র্যাম্প’, পেশীতে খিঁচুনি, রগে টান পড়া ইত্যাদি নামেই এটি বেশি পরিচিত। কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টাও থাকতে পারে এ ব্যথা। বিশ্রাম নেয়ার সময়, রাতে ঘুমের সময়ও হঠাৎ মাসল ক্র্যাম্প বা পেশীর খিঁচুনি হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানা যায়, শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে এমনটা হয়। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব।

১. পানিশূন্যতা: পানির অভাবে শরীরের পেশী সংকুচিত হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি শরীরচর্চা, শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করলে, গ্রীষ্মকালে এর চাইতে বেশি পানি পান করা উচিত। এমনকি নারিকেলের পানি ও লেবুর রসও আপনার শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখে।

২. আয়রনের অভাব: দেহে আয়রনের অভাবে পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে তীব্র ব্যথা হয়। সবুজ শাক-সবজি, শষ্যজাতীয় খাবার, বাদাম ও মাংস আয়রনে আদর্শ উৎস।

৩. দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম: পেশীর কোষ গঠন এবং এর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরি দুটি খনিজ দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম। অয়েস্টার বা ঝিনুক, কাঁকড়া, লাল-মাংস, দানাজাতীয় খাবার ইত্যাদিতে দস্তা থাকে। দস্তার উৎস তুলনামূলক কম, তাই অভাব পূরণে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। অপরদিকে গাঢ় ‍সবুজ রংয়ের পাতাযুক্ত শাক-সবজি, মাছ, বীজজাতীয় খাবার, বাদাম, শিম, মিষ্টি আলু, দই ও কলায় থাকে ম্যাগনেসিয়াম।

৪. ভিটামিন ডি: শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখে ভিটামিন ডি। এর অভাবে পেশীতে খিঁচুনি হয়। সকালের রোদ, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ এবং চিজ বা পনিরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। শরীরে এই ভিটামিনের পরিমাণ বাড়ানোর বিকল্প পথের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫. পেশি খিঁচুনি প্রতিরোধে পটাসিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এটি পেশী ও স্নায়ুর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় সাহায্য করে। কলা পটাসিয়ামের চমৎকার উৎস। পটাসিয়াম আপনার শরীরকে কার্বন ভাঙতে এবং পেশি তৈরি করতে সহায়তা করে। পটাসিয়াম পেশী ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.