বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিঃ ফিলিপাইন ব্যাংক কর্মকর্তার সাজা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসি ব্যাংকের সাবেক শাখা ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস দেগুইতো দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ফিলিপাইনের আদালত দেগুইতোকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১১ কোটি ডলার জরিমানা করেছেন।

২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ চুরির ঘটনায় এ প্রথমবারের মতো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারী) দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র মেকাটি শহরের একটি আদালত এ রায় দিয়েছেন। ফিলিপাইনের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি শাখার সাবেক ম্যানেজার দেগুইতো অর্থপাচারের আটটি অভিযোগে মেকাটি আঞ্চলিক বিচার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।

প্রতিটি অভিযোগের বিপরীতে তার চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া ১১ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাকে। চারটি অজ্ঞাত ও কাল্পনিক ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও জমা দেওয়ায় সহায়তা করায় দেগুইতো দায়ী বলে জানিয়েছেন আদালত।

তবে ২০১৬ সালের সিনেটের তদন্তের শুনানিতে দেগুইতো বলেছিলেন, তাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। দেগুইতোর আইনজীবী দিমেট্রিও কাস্টোডিও বলেন, তার মক্কেল রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ মামলা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাবে।

এ রায়ের পর ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম বলেন, আরসিবিসি ব্যাংকের আরও ছয় কর্মকর্তা রয়েছেন, তাদের মামলা দেশটির অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।

পাঁচটি সুইফট মেসেজের মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। এই অর্থ চুরিতে দেশের ভেতরের কোনো একটি চক্রের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। বাকি অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হলেও এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.