বিএনপি নেতাদের মানসিক চিকিৎসা খুবই প্রয়োজনঃ তথ্যমন্ত্রী 

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানাবো, আপনাদের কয়েকজন নেতার চিকিৎসা করানোর জন্য। তাদের মানসিক চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। আর কাদের চিকিৎসা প্রয়োজন আপনারা সবাই জানেন। আজকে রিজভী সাহেব বলেছেন সরকারের ব্যর্থতার কথা, আমি তো বলছি বিএনপির ব্যর্থতা ঢাকতে ড. কামাল, রিজভী সাহেবসহ অনেকেই নানা কথা বলছেন।

আজ শনিবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচাইতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিলো উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিএনপি নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য নানা কথা বলছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নির্বাচনে সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে। সব নির্বাচনে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে, পুলিশ আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে।

এই নির্বাচনে একজন পুলিশও আহত হয়নি। সবচাইতে কম সহিংসতা ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনে চরমভাবে হেরে যাওয়ার কারণে এক দিকে সংলাপের কথা বলছেন আরেক দিকে নানা কথাবার্তা বলে নিজেদের মুখ রক্ষার চেষ্টা করছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই সংলাপের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করছে বলে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির হায়ারে খেলতে যাওয়া ড. কামাল হোসেন বলেছেন নতুন নির্বাচনের জন্য সংলাপ করবেন। আসলে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সংলাপের ভাওতাবাজি কথা বলছেন নেতারা। নির্বাচনে তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং জনগণের চোখ অন্যদিকে ফেরানোর জন্য সংলাপের কথা বলছেন তারা।

বিএনপি অকশনে মনোনয়ন বিক্রি করেছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, অকশনে যারা নমিনেশন বিক্রি করেন, তারা কিভাবে নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা দেখিনি তিনশ আসনে আটশ নমিনেশন। যা বিএনপি এবার করেছে। নির্বাচনের দশদিন আগে যারা হাত পা গুটিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকে তারা কিভাবে নির্বাচনে জয় লাভ করবে। যারা জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে হত্যা করেছে, পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছেন তাদেরকে মানুষ ভোট দিতে পারে?

তি‌নি ব‌লেন, আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এই ধরনের কথাবার্তা না বলে আপনাদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করুন। আর নেতৃত্ব পরিবর্তন করুন, তাহলে হয়ত আবার জনগণের কাছে যেতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, অভিনয় শিল্পী হাসান ইমাম, এটিএম শামসুজ্জামান, রোকেয়া প্রাচীর, তারিন, নুতন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.