উপজেলা নির্বাচনে পটিয়ায় আ.লীগ প্রার্থীরা মাঠে, বিএনপি নীরব

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া : নির্বাচন কমিশনের ঘোষনায় আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬ষ্ঠ দফায় সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা। সংসদ নির্বাচনে রেশ না কাঠতেই দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে। মাঠে পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকান সহ সর্বত্র তুমুল আলোচনার ঝড় বইছে। এই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন কে পাবে। কিন্তু বিএনপি নীরব, তারা আদৌ উপজেলা নির্বাচন অংশ গ্রহন করবে কি না? আ’লীগের টিকেট কে পাচ্ছে এসব নিয়ে চুল চিড়া বিশ্লেষণ, তবে আ’লীগ থেকে বিভিন্ন পদধারী সম্ভাব্য ডজনখানেক নেতা প্রার্থীতা হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

নেতাদের ধারণা নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেই বিজয়ীর সম্ভাবনা সুনিশ্চিত। আ’লীগ সম্ভাব্য প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ ভিন্ন ভিন্ন সক্রিয় কৌশলে প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই এমপি ও জেলা, উপজেলা শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মধ্যে এই নির্বাচন হল অন্যতম।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬, সংরক্ষিত মহিলা ৬ জন। এদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু বলেন, দল নির্বাচনে অংশ না নিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। কিন্তু নির্বাচন প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই নির্বাচন স্বত্বস্ফুর্ত ভাবে জনগন ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে সব সময় তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দলের নেতা কর্মীদের জন্য কাজ করেছেন। দল থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। সারা জীবন আ’লীগের রাজনীতি করে আসছি এখন সময়ের দাবী, তাই তিনি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশা করছি।

উপজেলা যুবলীগ সাবেক সভাপতি ও আ’লীগ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান ১৩নং ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সেলিম বলেন, সাধারণ মানুষ ও নেতা কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ পদে প্রার্থী হবেন। ছাত্রজীবন থেকেই আ’লীগ থেকেই দলকে সুসংগঠিত করে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সেবক হয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে নিজে সম্পৃক্ত রয়েছে। রাজনীতিতে আমার কোন কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। তাই তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন এবং দলীয় মনোনয়ন পেলেই আমি বিপুল ভোটে জয়ের আশা করছেন।

দক্ষিণ জেলা আ’লীগ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: তিমির বরণ চৌধুরী বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি আ’লীগ রাজনীতি করে আসছি। ২০০৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তাই দলীয় মনোনয়ন পেলেই নির্বাচন করব।

দক্ষিণ জেলা আ’লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য নাছির আহমদ, জেলা যুবলীগ সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীর, পৌরসভা আ’লীগ যুবলীগের সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকীর নাম মাঠে ও পাড়া মহল্লায় সাধারণ ভোটাদের মাঝে বেশি শোনা যাচ্ছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, উপজেলা আ’লীগ প্রচার সম্পাদক গোলাম সরোয়ার চৌধুরী মুরাদ বলেন সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে আমি বিপুল ভোট জয় হব। মূলত সাধারণ মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে যদি মনোনয়ন পেলেই জয় শত ভাগ। দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সদস্য ও মানবাধিকার সভাপতি আবু ছালেহ মু: শাহরিয়া, পটিয়া উপজেলা আ’লীগের নেতা মিজানুর রহমান, পটিয়া উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক এম এ রহিম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি বলেন ২০১৪ সালে আমি বিপুল ভোটে জয় হয়েছি। সাধারণ লোকজনের পাশে থেকে দল কাছে কিছু আশা করিনি। দল নির্বাচনের অংশ না নিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে নির্বাচন করব কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, সাজেদা বেগম,

জীবন আরা বেগম রুবি, যুব মহিলা লীগের সম্পাদক সুমি দে সাথীর নাম শোনা যাচ্ছে । ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমদ টিপু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ডী ছিলেন আ’লীগের নাছির আহম্মদ, এতে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইসলামী ফ্রন্টের নেতা সৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, বিএনপি থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আফরোজা বেগম জলি।

২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, তিনি বিএনপির নেতা ইদ্রিস মিয়ার কাছে হেরে যান। ভাইস চেয়ারম্যান আ’লীগের নেতা ডা: তিমির বরণ চৌধুরী, আ’লীগ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু জয়লাভ করেন। পটিয়া উপজেলায় ১৭ ইউনিয়ন সহ একটি পৌরসভার মধ্যে মোট ভোটার ২,৮৫,৪৯৪ জন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.