চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে এলডিপি টেকাতে আ.লীগ প্রার্থীরা একাট্টা

0

নিজস্ব সংবাদদাতা,চন্দনাইশ : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চন্দনাইশ আ.লীগের সম্ভাব্য ৯ মনোনয়ন প্রত্যাশী একাট্টা হয়েছেন। তারা জানান, আ.লীগ নেতাদের মধ্য থেকে যাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে তার পক্ষে সবাই কাজ করার জন্য একাট্টা হয়েছেন। তবে হাইব্রিড বা অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আসা সুবিধাবাদীদের মনোনয়ন না দেয়ার দাবী জানান।

বর্তমানে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৭ জানুয়ারি প্রতিটি উপজেলা থেকে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ৩ জন প্রার্থীর তালিকা, সম্ভব হলে ১ জন করে প্রার্থীর তালিকা জেলা কমিটিতে প্রেরণের কথা ছিল। কিন্তু চন্দনাইশ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বর্ধিত সভা আহ্বান করা সম্ভব হয়নি। ফলে দ্বিতীয় অপশন অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জেলা কমিটি বরাবরে আবেদন করেন। চন্দনাইশে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আবেদন করেন।

১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এলডিপি থেকে বহিস্কৃত, পরবর্তীতে আ.লীগে যোগদানকারী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী ছাড়া অপর ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী একাট্টা হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সাথে দেখা করেন। এ সময় তারা একাট্টা হয়ে ৯ জন আ.লীগের মধ্যে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কিন্তু কোনভাবে যেন দলীয় নেতার বাইরে তথা অন্য দল থেকে যোগদানকারী কাউকে মনোনয়ন যেন দেয়া না হয়, সে দাবীই জানান। এব্যাপারে তারা দলের সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের সময় সবাই কাজ করেছেন, তাই তিনি এককভাবে কারে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে এব্যাপারে কোন রকম মন্তব্য না করার নির্দেশনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আ.লীগের ৯ জন প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি, বরকল ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাসেম-মাহবুব উ”চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, চন্দনাইশ উপজেলা, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য একেএম নাজিম উদ্দিন, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হেনা ফারুকী, উপজেলা আ.লীগের অর্থ সম্পাদক এসএম নুরুল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক, এডিশনাল জিপি এড. শিহাব উদ্দিন রতন, সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা এম নাজিম উদ্দিন, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মীর মো. মহি উদ্দিন।

উপজেলা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই তিনি এ সকল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালে যারা আ.লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যুবলীগ নেতা রমিজ হত্যা মামলার আসামী, আ.লীগ সরকারকে উৎখাতের লক্ষে নগরীর এলডিপি অফিসের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আসামী আবদুল জব্বার চৌধুরীকে যেন কোনভাবে মনোনয়ন দেয়া না হয়। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান। একইভাবে তিনি ওমরা হজ্ব পালনের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনিও ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিছু লোক আ.লীগ নেতা-কর্মীদের মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ১জন হাইব্রিড নেতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন এবং অর্থ-কড়ির লোভও দেখাচ্ছেন। যা কোনভাবে কাম্য নয়। এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এসকল বিভ্রান্তিমূলক কারণে আ.লীগ পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেছেন, দলীয় পদ-পদবী থাকতে হবে এমন কোন নির্দেশনা কেন্দ্রের দেয়া চিঠিতে উল্লেখ নেই। এসব মানুষের মুখের কথা। তিনি আ.লীগের একজন হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আবেদন করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.