চট্টগ্রাম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৪৯৮৬৭ পরীক্ষার্থী
৭ টি কেন্দ্রে ভূল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ
কারেন্ট টাইমসঃ চট্টগ্রাম বিভাগে এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মানবিক বিভাগে ৫১ হাজার ৫৭ জন,বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ হাজার ৫৩৯ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৬৫ হাজার ২৭১ জন পরীক্ষার্থী। তন্মধ্যে ৮১ হাজার ১০৮ জন ছাত্রী, ৬৫ হাজার ৭৫৯ ছাত্র।
চট্টগ্রাম জেলার ১১২ কেন্দ্রের ৯০ হাজার ৭৮৫ পরীক্ষার্থীদের মধ্য অনুপস্থিত ছিল ৩৫৩ জন, কক্সবাজার জেলার ২৬টি কেন্দ্রের ১৭ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ৬৯ জন, রাঙামাটি জেলার ১৯ কেন্দ্রের ৬ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপস্থিত ২০ জন, খাগড়াছড়ি জেলার ২১ কেন্দ্রের ৭ হাজার ১৮৯ জনের মধ্যে ২৫ জন এবং বান্দরবান জেলার ১২ কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৮০ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১০ জন।
আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল সমমানের পরীক্ষা। চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলার ১৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । আজ প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৭৭ জন। শতকরা হারে ০.৩৮% অনুপস্থিত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।
তুলনামূলকভাবে ছাত্রী সংখ্যা চোখে পড়ার মত ছাত্রের চেয়েও ১২ হাজার ৩৪৯ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর ৫৪.১১ শতাংশ ছাত্রী এবং ৪৫.৮৯ শতাংশ ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ২০১৮ সালে ৫৩.৬০ শতাংশ ছাত্রী ও ৪৬.৪০ শতাংশ ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আজ ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে সকল ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনাও রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরী ও বিভাগের ৭ টি কেন্দ্রে ভূল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বোর্ডের অধীনে ৭টি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
এসব কেন্দ্র হলো: নগরীর ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গরীবে নেওয়াজ বিদ্যালয়, পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজারের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়ার পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয় এবং উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, ৭টি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের সিলেবাসে যাদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তাদের মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ট্রেজারি শাখা থেকে প্রশ্ন নেওয়ার সময় কেন্দ্র সচিবদের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওই ৭টি কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবদের শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় এসব শিক্ষার্থীর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তারা যাতে ক্ষতির শিকার না হয়, তা বোর্ডের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।