বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারিঃ প্রধানমন্ত্রী
সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তই বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারি।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি ২০১৮-২০১৯ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও। জাতির পিতা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে গেছেন। আমরা এরই আলোকে যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা করছি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করছি।
দেশ ও জাতির কল্যাণে গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ডিফেন্স কলেজেরও আধুনিকায়ন করা হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় বিশ্ববাসী দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য চিনতো। তবে সে অবস্থা এখন আর নেই। আমাদের জিডিপি বেড়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। মানুষের আয় এবং জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে। সুনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেকেই যখন সেতু নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়ায়, তখন আমরা বলেছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করবো। এই একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১ হাজার ৭৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হযেছি। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য জেলার এবং সামগ্রিকভাবে পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে এ কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।