নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপন

0

কারেন্ট টাইমসঃ  বিশ্ব বেতার দিবস ইউনেস্কো ২০১২ সাল থেকে পালন করে আসছে। সারাদেশে একযোগে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে।

আজ ১লা ফাগুন (১৩ ফেব্রুয়ারী) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে চট্টগ্রামে বিশ্ব বেতার দিবস উদ্বোধন করেন। বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো. আবুল হোসেনসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করেন।

এসময় চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. গোলাম মাওলা, বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বার্তা নিয়ন্ত্রক গোপাল চন্দ্র দেব উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী বেতার একটি জনপ্রিয় গণমাধ্যম। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে সহজলভ্যতার কারণে মানুষের কাছে বেতার একটি গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশ, জাতি-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ও হানাহানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সব সংঘাত যুদ্ধ বিগ্রহের মূল কারণ। শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংলাপ ও সহনশীল মনোভাবের বিকল্প নেই। প্রচার কার্যক্রমে এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ বেতার স্বাধীনতাউত্তর দেশ গঠনে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর থেকে আমরা যে নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশ বেতার তা পৌঁছে দিচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে। দেশে-বিদেশে সর্বত্র গড়ে তুলছে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি।

এবারের বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৯ এর প্রতিপাদ্য সংলাপ, সহনশীলতা এবং শান্তি এর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার বদ্ধপরিকর। এ প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশ বেতার দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালনে সব সময়েই কাংক্ষিত ভূমিকা পালন করে আসছে। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ বেতার হয়ে উঠেছে শিল্পী তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৫টি মিডিয়াম ওয়েভ ট্রান্সমিটার, ৩টি শর্ট ওয়েভ ট্রান্সমিটার, ৩২টি এফ.এম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ৬টি বিশেষায়িত প্রতিদিন ৪৪৯ ঘন্টার সম্প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.