আজ থেকে লঞ্চের টিকেট

0

সিটিনিউজবিডি : ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে লঞ্চে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য টিকেটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। লঞ্চে উঠার আগেই এবার টিকেট কাটতে হবে। সকল যাত্রীদের টিকেট সংগ্রহ করে লঞ্চে উঠতে হবে। টিকেট ছাড়া কোনো যাত্রীকে লঞ্চে উঠতে দেয়া হবে না। অতিরিক্ত যাত্রী চাপ সামাল দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চের প্রায় অর্ধশত নৌ-রুটে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। ঈদের পর বিশেষ সার্ভিস চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

রাজধানীর সদরঘাটের নৌ-টার্মিনালের পশ্চিম পাশে নির্মাণাধীন নতুন ভবনে ২২টি টিকেট কাউন্টার খোলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাট নৌ-বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদিন বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কাউন্টারগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব কাউন্টার থেকে সব লঞ্চের মালিকরা নিজেদের সুবিধামত টিকেট বিক্রির ব্যবস্থা করবেন। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারবে না। অতিরিক্ত যাত্রীও লঞ্চে উঠাতে পারবে না। একেকটি লঞ্চের যাত্রী ধারণ ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে টিকেট বিক্রি করতে হবে লঞ্চ মালিকদের।

গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিআইডব্লিটিএ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আসন্ন ঈদে সুষ্ঠু ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক বৈঠকে লঞ্চের টিকেটিং ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ওই বৈঠকে জানানো হয়েছে, ঈদের আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সকল ধরনের ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ফেরি পারাপার বন্ধ থাকবে। শুধু গরুবাহী ও পেঁয়াজের ট্রাক পারাপার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকবে।

এছাড়া ঈদে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে লঞ্চগুলোর ওপর কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান। তিনি বলেছেন, কোনো অবস্থায় লঞ্চের ছাদে যাত্রী তুলতে দেয়া হবে না। গত রমজান ঈদ আমরা ভাল ভাবে পার করেছি। আসন্ন ঈদও আমরা ভালো ভাবে পার করবো। নতুন করে দুর্ঘটনা ঘটুক আমরা চাই না।

মন্ত্রী বলেন, নৌ-পথে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। ফলে নতুন নতুন জাহাজ আসছে। এ পর্যন্ত ৯টি জাহাজ এসেছে। মধমুতি নামের আরেকটি জাহাজ আনা হয়েছে। এবারের ঈদে লঞ্চের ওপর কড়া নজরদারি থাকবে, যাতে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে না পারে।

কোনো নৌযানেই ওভারলোডিং গ্রহণযোগ্য হবে না বলে লঞ্চ মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে আরো ৩টি ফেরি নামানো হবে। ফেরি তিনটি হরিনা ঘাটে দেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।

সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে লঞ্চ চলাচলের জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া মাওয়া-বরিশাল, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও কিশোরগঞ্জে একটি করে ৪টি উদ্ধারকারী জাহাজ রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন নৌঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট ইজারা প্রথা তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো ঘাটের ইজারা তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী বছর সবগুলো ঘাটের ইজারা প্রথা একেবাইে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.