সীতাকুণ্ডে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্ষোভের সৃষ্টি

0

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় সীতাকুণ্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সীতাকুণ্ডে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পুরুষ ও মহিলা দলীয় প্রার্থী পরিচিতি সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার ২ মার্চ বিকাল ৩ টায় এলকে সিদ্দিকী স্কয়ার জেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইসহাকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রেহান উদ্দিন রেহানের পরিচালনায় ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম দলীয়ভাবে একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরীকে ও জয়নব বিবি জলিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষনা করেন। এসময় অন্যান্য প্রার্থীরা তা না মেনে সভা থেকে বেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে.।

ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি উম্মুক্ত করে দেয়ায় সীতাকুণ্ডে তার ব্যতিক্রম হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীরা তা না মেনে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচনে লড়াই করার পূর্ণব্যক্ত করে। কারণ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষনার পর দলের কেন্দ্রিয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ঘোষনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়া বাকী ভাইস-চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা সকল প্রার্থীরা উম্মুক্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ধীতা করতে পারবে।

তাই অন্যান্য প্রার্থীরা আগামী ১৮ মার্চ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা মূলক প্রতিদ্বন্দ্ধীতা করে যাবে। এদিকে তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও প্রতিদ্বন্দ্ধীতা ছাড়া একক প্রার্থী ঘোষনাও মানতে নারাজ। যেহেতু নির্বাচনে বিএনপি,জাতীয় পার্টি, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টিসহ অন্য কোন পার্টি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে না। একক প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী গোলাম মহিউদ্দিন জানান,আমরা এমপি’র মন গড়া সিদ্ধান্ত মানতে পারি না।

কারণ আমাদের কেন্দ্রিয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক শুধুমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য দলীয় চিঠি দিয়েছে।কিন্তু উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি উন্মুক্ত রাখে বিধায় আমি নির্বাচনে লড়ে যাব। কোন স্থানীয় নেতার কথা বা স্থানীয় এমপি’র কথায় দল চলে না। দল চলে কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তের আলোকে। আর এ ধরনের সভা ডাকার কারো এখতিয়ারও নেই। কারণ থানা কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গোলাম মোস্তফা এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া।

তিনি আরো বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আলহাজ্ব দিদারুল আলমকে ভোটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত করি।সুতরাং আমি আশা করবো তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত “ ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি উন্মক্ত “ এ কথাটি মানবেন এবং উপলদ্ধি করবেন।এ ব্যাপারে আরেক ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পদাক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন,কারো কথায় কোন ধরনের একক প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি দলের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে ফরম কিনেছি।

দলের কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি নির্বাচনের মাঠে থাকবো। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ধীতা করে যেই জিতবে তাকেই আমি মেনে নেব। কারণ উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি সকলে প্রতিদ্বন্দ্ধী করার জন্য কেন্দ্রিয় ভাবে উম্মুক্ত রাখা হয়। এমনকি দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা চেয়ারম্যান পদটিও কেন্দ্রিয় ভাবে উম্মুক্ত করে দেয় ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন, তৃর্ণমুল থেকে সিদ্ধান্ত হয় একক প্রার্থী দেবার, এবিষয়ে তৃর্ণমুলের সভা হয়, সভায় সভাপতি- সেক্রেটারির সিদ্ধান্ত হয় একক প্রার্থী দেবার। এখানে প্রার্থী ঘোষণা আমার ব্যক্তিগত কোন সিদ্ধান্ত নয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.