সাতকানিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচির টাকা আত্মসাত

0

নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম : সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়া ডেঙ্গা গ্রামের আজিজ সওদাগর সড়কের উন্নয়নের নামে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ ২ লাখ টাকার কাজে খরচ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের আবদুল আজিজ সওদাগর সড়কের দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থা ছিল সংস্কার ও উন্নয়নের অভাবে। স্থানীয়দের দাবির মুখে চেয়ারম্যান তসলিমা আকতার সড়কের সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ নেন। কিন্তু লোক দেখানো ওই উন্নয়নের নামে বরাদ্দ টাকা তিনি গোপনে আত্মসাত করেছেন। এতে সড়কে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ লাঘব দূরে থাক, ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন। সড়কে লোক দেখানো কিছু মাটি ভরাট করা হয়েছে।

কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়, প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এখন পুরো সড়কের অবস্থায় বেহাল। ফলে একান্ত বাধ্য নাহলে পারতপক্ষে ওই সড়কে কেউ যাতায়াত করছেন না। সড়কে যে হিসেবে মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে সেই হিসেবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। চেয়ারম্যান তসলিমা আকতার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করার মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাত করেছেন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিনকে। তিনি ইতিমধ্যে এলাকায় গিয়ে তদন্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী তাঁর আবেদনে কাবিখার টাকায় সড়ক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই সড়কে মূলত দরিদ্র বিমোচন কর্মসূচির টাকায় প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ টাকা। কিš‘ সেখানে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে সরেজমিন পরিদর্শন ও ¯’ানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। তাই চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিকে বলে আসা হয়েছে অবশিষ্ট টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।

জানতে চাইলে অভিযোগকারী আবদুল আজিজ বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বিবেচনায় আমরা চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলেছি প্রকল্পের কাজ করার জন্য। কিš‘ তিনি আমাদের কথা রাখেননি। লোক দেখানো কাজ করে কর্মসূচির পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পাশাপাশি উল্টো বিভিন্নভাবে ধমক দিয়েছেন আমাদেরকে। চেয়ারম্যানের সাঙ্গপাঙ্গরাও কাজ করা হবে না কথা বলে বেড়া”িছলেন। তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকারের আবেদন করেছি লিখিতভাবে। এ বিষয়ে জানতে নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিমা আকতারের মুঠোফোনে বহুবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আরিফের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.