রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাচারের শিকার নারী -কিশোরী 

0

শহিদুল ইসলাম উখিয়া (কক্সবাজার): কক্সবাজারের উখিয়া -টেকনাফে ত্রিশটি রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির রয়েছে।এখানে বসবাস করছে এগার লাখের অধিক রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাচারকারীরা ক্যাম্পে বসবাস কারী রোহিঙ্গাদের নানান প্রলোভন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে নিয়ে যাচ্ছে।

সুযোগ বুঝে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দিচ্ছে। বিশেষ করে পাচারকারীরা রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরীর উপর নজর বেশি। নারীদের সহজে বুঝতে সক্ষম হয়। উখিয়া -টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রতিদিন নারী -কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন অাথির্ক অভাব অটনের কারনে রোহিঙ্গা নারীরা গৃহ কর্মী হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্হানে ছুটে যান।সেখানে পাচারকারী খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।

গত রবিবার ৩১মার্চ সকাল ১১টার দিকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে ঢাকার হয়রত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার রোহিঙ্গা যাত্রী আটক করেছে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ।বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিড়িয়া) আলমগীর হোসেন বলেন,১২টা ১৫মিনিটে মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন আনোয়ার (৩০), রোকেয়া (১৯), মরিজান (২২) ও আমেনা বেগম (১৬)। তারা সবাই মিয়ানমারের মংডু এলাকার বাসিন্দা। ঢাকার খিলগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করেছে।

গত ৩০মার্চ শনিবার উখিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। নারী পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শামসুল আলমের মেয়ে হামিদা বেগম (২২) বালুখালি ক্যাম্পের কলিমুল্লার মেয়ে রুমা আক্তার (১৬) আব্দুর রহিমের মেয়ে বুজোয়া আকতার (১৫) ও মোহাম্মদ তৈয়বের মেয়ে শামসুর নাহার (১৬)।

রুমা আকতার বলেন, দুঃসম্পর্কের আত্মীয় জনৈক অলি উল্লাহ মাধ্যমে অচেনা দুইজন পাচার কারীর সঙ্গে তাদের সরাসরি কথা হয়। ওই পাচারকারীরা বিনা পয়সায় পাসপোর্ট ভিসা ও বিমান ভাড়া দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর লোভ দেখায়।

খিলগাঁও থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিওিতে রেলওয়ে কলোনির একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চারজন রোহিঙ্গা নারী কে উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দালাল চত্রু পালিয়ে যাওয়ার কারনে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার ভোরে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফের সেন্টমার্টিনের দ্বীপের অদূরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৩২জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। এসময় তিন দালালকে হাতে নাতে আটক করেছে।উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.