ভুয়া খবরে জনমনে সহিংস প্রভাব পড়ে: আইনমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের দেশে পাঁচটি উদ্দেশে ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয়। উদ্দেশ্যগুলো হলো- সাম্প্রদায়িক গুজব ছড়ানো, উগ্র রাজনৈতিক ধর্মীয় মিথ্যাচার প্রচার, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং অবৈজ্ঞানিক জল্পনা-কল্পনা প্রচার। এসব উদ্দেশ্যের মধ্যে পাঁচ নম্বর কারণ ক্ষতিকর না হলেও বাকি চারটি ভুয়া খবরের কারণে জনমনে সহিংস প্রভাব পড়ে।

ভুয়া খবরের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কসমস সেন্টারে ফেইক নিউজ অ্যান্ড হেইট স্পিচ: কজেজ অ্যান্ড কনসিক্যুয়েন্সেস, হাউ ইট সাবভার্ট আওয়ার ডেমোক্রেটিক সিস্টেমস শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কসমস ফাউন্ডেশন।

আনিসুল হক বলেন, সাইবার আদালত গঠন, গুজব প্রতিরোধে ও অবহিতকরণ সেল গঠনের পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নে সরকার কাজ করছে।

ভুয়া খবরের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে বিটিআরসি, আইসিটি বিভাগ, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তৈরি এবং তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ না হয়। সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য এড়ানোর প্রবণতা/নীরবতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে, মানুষের সত্য জানার পথ সেখানেই বন্ধ হয়ে যায়, যেখান থেকে ভুয়া খবরের প্রচার শুরু হয়।

কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইনায়েতুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিসের (আইএসএএস) প্রধান গবেষক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড ইন্টারনেট ডেমোক্রেসির প্রেসিডেন্ট ডান সেফেট প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.