বৈশাখে সবাই সাম্য,সম্প্রীতির মহান শিক্ষা অর্জন করেঃ মেয়র

0

সিটি নিউজঃ বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ সন উপলক্ষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালির জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বৈশাখ মাস আসলেই বাংলা ভাষাভাষি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে এক মঞ্চে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে তোলে। এদিনে সবাই সাম্য,সম্প্রীতি ও উদারতার মহান শিক্ষা অর্জন করে।

আজ রবিরার (১৪ এপ্রিল) সকালে চসিক আয়োজিত জিমনেসিয়াম সংলগ্ন ময়দানে তিনদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ বঙ্গাব্দ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ৃয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় চসিক প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর এইচ.এম.সোহেল, শৈবাল দাশ সুমন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়র আরো বলেন আমরা বাঙালি, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলায় আমরা কথা বলি। ভাষার জন্য আমরা যে আত্মত্যাগ করেছি, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি বলেন প্রতিটি জাতির কিছু নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে। যা জাতিকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। এসব সংস্কৃতিই বলে দেয় এক একটি জাতির নিজস্বতা। এমনকি প্রত্যেক জাতিকে ভিন্নতা দেয় এ সংস্কৃতিই । তাই বলা হয় ভাষা,শিক্ষা ও সংস্কৃতি হলো একটি জাতির সত্তার প্রাণ স্বরুপ।

এই প্রসংগে মেয়র বলেন,এ সংস্কৃতি রক্ষা করতে বাঙালি জাতিকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানই ছিলেন এ আন্দোলনে পুরোধা। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের পরাক্রমশালী পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা আমাদের মাতৃভুমিকে স্বাধীন করেছি। তাই আমরা বীরের জাতি, আমরা বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, সোনার বাংলা ক্ষুধা,দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবই। তাই বিদায়ী বছরে সকল ভুল-ভ্রান্তি,ব্যর্থতা-গ্লানি এবং আক্ষেপ ভুলে গিয়ে এই নতুন বছরে নতুন উদ্যাম ও উদ্দীপনায় স্ব- স্ব ক্ষেত্রে দেশ গড়ার কাজে নিজেরদেরকে নিয়োজিত করব, এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সিটি মেয়র।

আগামীকালের কর্মসূচিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তিনদিন ব্যাপি বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাপনি দিবস আগামীকাল ১৫ই এপ্রিল সোমবার। এদিন নগরীর জিমনেসিয়াম সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী উৎসব – ১৪২৬ বঙ্গাব্দ উদ্যাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী,অতিথি শিল্পী, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রামের শিল্পীরা লোক গীতি, নৃত্য ও মরমী সঙ্গীত পরিবেশিত হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.