ঘুমের মধ্যে পায়ে টান পড়ে কেন?

0

হঠাৎ প্রবল যন্ত্রণা। পা সোজা করতে পারছেন না। ভোর রাতে পায়ের পেশিতে টান লেগে আমারা অনেকেই ভুগে থাকি। ফলে অসহ্য যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। মাসল ক্র্যাম্প হলে ব্যথা কখনও কখনও কয়েক সেকেন্ড থাকে। আবার কখনও কখনও পায়ের পেশিতে ব্যথা সারাদিন ধরে ভোগায়। শুধু যে ঘুমের মধ্যেই মাসল ক্র্যাম্প হয়, তা নয়। কখনও কখনও হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেশিতে প্রবল টান পড়তে পারে।

অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এই ধরণের সমস্যার জন্য দায়ি হয়। এছাড়াও একাধিক কারণ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মাসল ক্র্যাম্প কেন হয়, এর থেকে রক্ষার উপায়-

গবেষকদের মতে পটাশিয়ামযুক্ত খাবার পেশিতে টান কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম পেশি ও স্নায়ুর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কখনও কখনও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও সুফল দেয়। আসলে প্রোটিন পেশি ও টিস্যুর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে।

সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। শরীরে জলের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের জল বা লেবু-জলও খেতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতির জন্যই মেস ক্র্যাম্প হয়।

পটাশিয়ামের সেরা উৎস হল কলা। পটাশিয়াম কার্বন ভাঙতে ও পেশির গঠনে সাহায্য করে। তাই কলা এক্ষেত্রে উপকারী খাবার হতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

কলার পাশাপাশি মিষ্টি আলু খেতে পারেন। লাল আলু পটাশিয়ামের ভাল উৎস। এছাড়াও এতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। সাধারণ আলু ও কুমড়া আপনার শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে।

শীতকালে শিম ও মটরশুঁটি আপনার শরীরে প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামের জোগান বাড়াবে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অনেক সময় মেয়েদের মাসিকের সময় মাসল ক্র্যাম্পের হাত থেকে বাঁচায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.