মিয়ানমার থেকে ১৭ জনকে আনা হলেও এখনো চিকিৎসাধীন ১৪ জন

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি। বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৪ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহা-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরীর নেতৃত্বে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল খান চৌধুরী জানান, ইফতারের আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটিতে পাইলট ও কেবিন ক্রুসহ মোট ৩৪ জন আরোহী ছিলেন। ৩০ জন আরোহীর মধ্যে একজন শিশু, পাইলট ও কেবিন ক্রু ছিলেন আরও চারজন। এদের মধ্যে আহত ১৯ জনকে ইয়াঙ্গুনের নর্থ ওকলাপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩ টা ৪৫মিনিটে শাহজালাল থেকে উড্ডয়ন করে, সন্ধ্যা ৬টা ২২মিনিটে অবতরণের সময় ড্যাশ-৮ উড়েজাহাজ রানওয়ে ছিটকে পড়ে।

বিমানের প্রকৌশল শাখার একটি সূত্র জানিয়েছে, বিমানটিতে পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন শামিম। জরাজীর্ণ ওই ড্যাস-৮ কিউ ৪০৯ উড়োজাহাজটি অনেকদিন থেকে ভালো চলছিল না।

বিমানবন্দরে বিমান চলাচল আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আশপাশের বিমানগুলোকে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই বিমানবন্দরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ফ্লাইটটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ায় ১৯ জন আহত হয়। এর মধ্যে ১৮ জনকে প্রথমে মিয়ানমারের ইয়াংগুনের নর্থ ওকলাপা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ইতোমধ্যে চারজন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

তবে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান কর্তৃপক্ষ নর্থ ওকালপা হাসপাতাল থেকে আহতদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে, বিমানের পক্ষ থেকে সব কিছু তদারকি করা হচ্ছে বলে জানালেন বিমান কর্তৃপক্ষ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.