বোয়ালখালীতে তিনদিন থানা হাজতে রিকশা চালক

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ বোয়ালখালীতে দু’পক্ষের বিরোধ মিমাংসার লক্ষ্যে থানা হাজতে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছে মো. ইউছুপ (৪৫) নামের এক রিকশা চালককে। তিনদিন ধরে থানা হাজতে থাকায় অসুস্থ পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (১১ মে)  দুপুরে বোয়ালখালী থানা হাজত থেকে রিক্সা চালক মো. ইউছুপকে হাজত খানা থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী পালপাড়ার বাসিন্দা মো. ইউছুপের সাথে প্রতিবেশিদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গত ৮ মে সন্ধ্যায় প্রতিবেশিদের কটুক্তি করলে মারামারির ঘটনা ঘটে।

এতে খোকন পাল (২৩), মনোতোষ পাল (৫০), রমা পাল (৪০), তানিয়া পাল (৩০), লক্ষ্মী পাল (৪২), জরিনা বেগম (৪৫) ও ঝিনু আকতার (২০) আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এসময় ইউছুপ ও তার ছেলে সেলিমকে আটক করে পুলিশ।

আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হলেও মনোতোষ পালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী লক্ষ্মী পাল।

এ ব্যাপারে ৯ মে বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী পালপাড়ার শিমুল পালের স্ত্রী তানিয়া পাল বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তা না নিয়ে ইউছুপ ও তার ছেলে সেলিমকে থানা হাজতে আটকে রেখে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালায়।

মিমাংসায় আনতে স্থানীয় দালালদের ব্যবহার করেছে বলে উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দিকে ন্যায় বিচারের আশায় উভয় পক্ষ বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও সুরাহা পাননি। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের চাপে পরে পুলিশ উভয় পক্ষ থেকে মামলা নেবে বলে জানায়।

১১ মে শনিবার দুপুরে থানা হাজতে মো. ইউছুপ শারীরিকভাবে অসুস্থ পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইউছুপকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শেষতক ইউছুপকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর উভয় পক্ষের মামলা রুজু করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

মামলার বাদী তানিয়া পাল বলেন, মো.ইউছুপের সাথে ৮ মে বুধবার সন্ধ্যায় ইউছুপ প্রতিবেশি শিমুল পালের বসতঘরের সামনে এসে গালমন্দসহ কটুক্তি করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ জানালে ইউছুপ ও তার ছেলেরা দা, কিরিচ ও লাটি নিয়ে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করেন।

মো. ইউছুপের স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, ‘শিমুল পাল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করে আসছিল। এর জের ধরে গত ৮মে বুধবার সন্ধ্যায় তারা হামলা চালালে আমরা দুইজন আহত হই। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই তিনদিন ধরে আমার স্বামী ইউছুপ ও ছেলে সেলিমকে আটকে রাখে। শনিবার আমার স্বামী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.