হালদা নদীতে পোনা উৎপাদনের মহোৎসব

0

সিটি নিউজ ডেস্ক:  দেশের ঐতিহ্যবাহী এবং একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প বা রুই জাতীয় মা মাছ। শুক্রবার (২৪ মে) রাতে নমুনা ডিম ছাড়ার পর শনিবার রাতে পুরোপুরি ডিম ছাড়ে মা মাছ। এরপর থেকে চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা পাড়ে রেণু পোনা উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) সকাল পর্যন্ত হালদা নদী থেকে ১০ হাজার কেজির বেশি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।

ডিম সংগ্রহকারী সাবেক ইউপি মেম্বার মাহবুবুল আলম জানান, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার প্রায় ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ ডিম আহরণকারী রোববার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে। তিনটি নৌকা দিয়ে গড়ে ৩-৪ বালতি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন। এবারের ডিম সংগ্রহ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, হালদা নদীতে এখন ডিম সংগ্রহ এবং ডিম থেকে রেণু পোনা উৎপাদনের উৎসব চলছে। তিনি নদী তীরে নিজে উপস্থিত থেকে ডিম সংগ্রহ থেকে রেণু উৎপাদন প্রক্রিয়া তদারকি করছেন।

রুহুল আমিন বলেন, শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টা থেকেই মূলত পরিপূর্ণভাবে হালদায় ডিম ছাড়তে শুরু করে মা মাছ। বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন ডিম সংগ্রহকারী হালদার বিভিন্ন পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করছেন। ইতিমধ্যে ১০ হাজার কেজির বেশি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। এগুলো থেকে রেণু উৎপাদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে নদী তীরের প্রাকৃতিক পোনা উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে।

রেণুতে প্রতারণা রুখতে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। প্রতারণা রুখতে ২টি ভ্রাম্যমান আদালত ও মনিটরিং টিম কাজ করছে বলে জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।

হালদা থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ (নমুনা ডিম) কেজি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮০০ কেজি এবং ২০১৪ সালে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় কার্প জাতীয় মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.