চাষীদের ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিনঃ সিপিডি

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ ন্যায্য দাম না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধানচাষীদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা। মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তুলে ধরতে গিয়ে সংস্থাটি এই সুপারিশ করে।

সিপিডি’র ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রপ্তানি খাত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছে। এটা দিলে সরকারের বাড়তি ১৫ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। ফলে রপ্তানি খাতে মোট ভর্তুকি দাঁড়াবে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো।

তিনি বলেন, আমি কৃষককে ৯ হাজার কোটি টাকা দিতে কোনো সমস্যা দেখি না। এটা দিলে তা যুক্তিযুক্ত ও সাম্যবাদী আচরণ হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, এ বছর ধানের দাম নিয়ে কৃষকের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ রকম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার প্রকট চিত্র অন্য খাতে দেখা যায়নি। তাই কৃষক ভর্তুকি দাবি করতেই পারে।

তিনি বলেন, ধানের দাম না পাওয়ায় গ্রাম থেকে উদ্বৃত্ত শহরে এসেছে। শহর থেকে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে।

এর আগে, সিপিডির অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। এ সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-

১. রাজস্ব আহরণের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি।

২. অর্থের অপচয় রোধে সরকারি ব্যয় সুশৃঙ্খলভাবে করা।

৩. কর ছাড়ের হিসাব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা।

৪. সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সমন্বয় ও সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমিয়ে আনা।

৫. প্রত্যেক কৃষককে ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

৬. ব্যাংক কমিশন গঠন ও বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর সুদের হার সমন্বয় করা।

৭. পুঁজিবাজারের সংস্কারের ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া।

৮. সরকারি প্রতিষ্ঠান অডিট করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া।

৯. সামাজিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং

১০. টাকার অবমূল্যায়নরোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সংলাপ পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফসহ গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.