চন্দনাইশে স্থগিত দুটি কেন্দ্রের ১৩ জুন ভোটগ্রহণ নিয়ে সংশয়

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার ১৩ জুন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের দু’টি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ জুন হাইকোর্ট বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের রিট আবেদনের শুনানী। নির্বাচন সুষ্টুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০ জন পুলিশ, ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ও পর্যাপ্ত আ নসার-ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে।এদিকে স্থগিত হওয়া দুটি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন ভোটাররা।

অনেক জল্পনা-কল্পনা ও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পর্যন্ত গড়িয়েছে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের রিট আবেদন। অবশেষে আজ ১৩ জুন দু’টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সুষ্টু ও সুচারুরূপে পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দু’টি কেন্দ্রে ৫০ জন করে পুলিশ, ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ও পর্যাপ্ত আনসার-ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে। এ সাথে অতিরিক্ত আরো ২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১ প্লাটুন বিজিবি দেয়া হয়েছে। অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে সকল প্রকার প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সহকারি রিটার্নিং অফিসার। গতকাল ১২ জুন বিকালে ২ টি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রে পৌছে গেছে।

গত ২৪ মার্চ চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হলে গত ১৭ এপ্রিল ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণের তারিখ স্থগিত চেয়ে গত ১৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম নাজিম উদ্দীন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে গত ১৭ এপ্রিল ২টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও মোহাম্মদ খাইরুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, সচিব নির্বাচন কশিমনার, অতিরিক্ত নির্বাচন অপারেশন- ২, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী, ডেপুটি কমিশনার এন্ড আপিল অথরিটি, রিটার্নিং অফিসার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ ৯ জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়। বিচারকদ্বয় উভয় পক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানীন্তে চন্দনাইশ উপজেলার স্থগিত ২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ গত ১৭ এপ্রিল স্থগিত করে ২ সপ্তাহের জন্য সময় দিয়ে রুল জারি করেন। সেই সাথে স্থগিত ২টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দেন।

জানা যায়, গত ২৪ মার্চ চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে পূর্ব চন্দনাইশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর বরকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন বিক্ষপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এদিকে এ ২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভোটগ্রহণ সুষ্টভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সাড়ে ৩’শ পুলিশ, ২ প্লাটুন বিজিবি ও ৪০ জনের অধিক আনসার ভিডিপি উপজেলা সদরে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। একইভাবে এ দুটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার, নির্বাচনী সরঞ্জামসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ১৩ জুন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনের স্থগিত ২টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এদিকে আগামী ১৬ জুন আ.লীগ সমর্থিত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী একেএম নাজিম উদ্দীনের দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্ট বিভাগে শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এ দু’টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৪’শ ৯ ভোট থাকলেও ২ হাজার ৬’শ ৩৪ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী। পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৪’শ ৮৫ এবং উত্তর বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯’শ ২৪ ভোট রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ২’শ ৮১ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী একেএম নাজিম উদ্দীন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৬’শ ৪৭ ভোট পেয়েছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.