চট্টগ্রাম ওয়াসা ডিএমডি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ

0

সিটি নিউজ ডেস্ক,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড়ছিলোনিয়া হরিণাদিঘী এলাকায় ঈদের দিন নামাজ পড়া না পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা চালিয়েছে কতিপয় জামায়াত শিবিরের ছেলেরা। তার মধ্যে ফারুক নামে এক শিবির নেতা ছাত্রলীগ নেতা সায়মনের উপর হামলা করে। আর এসবের ইন্ধন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভুক্তভোগীদের পক্ষে বক্তব্য দেন হামলার শিকার সায়মনের মা শিরু আকতার।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য সিরাজুল ইসলাম।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যে এবং উল্টো মুসল্লিদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন ওয়াসার ডিএমডি গোলাম হোসেন।

শিরু আক্তার বলেন, ওয়াসার ডিএমডি গোলাম হোসেন প্রভাব খাটিয়ে ২০ বছর ধরে ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়নে বড় ছিলোনিয়া হরিনাদিঘী বায়তুল নুর জামে মসজিদের সভাপতি পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। অথচ মসজিদটি সামাজিক অনুদানে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসীর আপত্তিতে ওই মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা শামসুদ্দিনকে ৫ বছর আগে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু গত ঈদের দিন ওই ইমামকে দিয়ে আবারও নামাজ পড়ানোর চেষ্টা করেন গোলাম হোসেন। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে গোলাম হোসেনের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হামলার শিকার সায়মন বলেন, ‍‌‘মসজিদের যে ইমামকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তার পিছনে আমরা কয়েকজন নামাজ পড়বোনা বললে আমাকে শিবির নেতা ফারুক ছুড়ি মারে এতে আমি মারাত্মকভাবে আহত হই’।

জামায়াত শিবিরের আক্রমণে থানায় জিডি করা হয়নি কেন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সাংবাদিকদের জানান, ‘তারা থানা ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের কয়েকবার অভিহিত করা হলেও তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি’।

এমন সময় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ বলে ‍উঠেন, সরকারের একজন ‍উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়েও জামায়াতের শীর্ষনেতা কাদের মোল্লা এবং নিজামীর যখন ফাঁসি হয় তখন গোলাম হোসেনের নেতৃত্বে জামায়াতের পক্ষ হয়ে মিছিল বের করে। যেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

এসব অভিযোগ মিথ্যে দাবি করে গোলাম হোসেন বলেন,অভিযোগগুলো হলো সামাজিক বিরোধ ও ব্যাক্তি কেন্দ্রীক সমস্যা। যারা অভিযোগ করছেন তারা ঈদের দিন মুসল্লিদের ওপর হামলা করেছে। এখন তারা মিথ্যে অভিযোগ করছেন।

তিনি বলেন, অভিযোগকারীদের আপত্তিতে ইমাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এরপর নতুন ইমামকে তারা বের করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে তাদের দাবি না মানাতে ঈদের দিন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় তারা।

কেন হামলা চালায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে মসজিদ-মাদ্রাসাটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। তারপরে তারা ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, যা এখন না পারাতে এসব বিষয়কে ইস্যু করে তারা হামলাসহ আমাকে এবং আমার পরিবারকে অপবাদ দিচ্ছে।

আপনি নাকি জামায়াত শিবিরের ইন্ধনদাতা এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে পাঁচ বছর আমি পার্বত্য এলাকায় থাকলেও আমাকে কোন প্রকার পদোন্নতি দেয়নি। আমাকে জেলা প্রশাসক করার জন্য প্রস্তাব করা হলেও আমাকে তাও করা হয়নি। আমি যদি বিএনপি’র সাথে সম্পৃক্ত থাকতাম তাহলে আমাকে তো দ্রুত পদোন্নতি দেয়া হতো একবছর ওএসডি করে ফেলে রাখতো না। এখানে যারা এসব করছে তারা আমাকে কোণঠাসা করার জন্য আমার নামে নানা রকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হামলায় আহত মো. সাইমন,কামাল উদ্দিন,দিদারুল আলম, রাশেদ উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ, আলমনারা বেগম,শিরু আকতার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.