চট্টগ্রামে জামাত নেতার জানাজায় হামলার অভিযোগ

0

সিটি নিউজঃ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরীর পিতাও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভীর শ্বশুর, মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাযার নামাজকে কেন্দ্র করে প্যারেড ময়দানে ধাওয়া-পাল্টা যাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে৷এতে অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

আজ শনিবার (২২ জুন) দুপুরে জানাজার প্রস্তুতি শুরু হলে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে প্যারেড ময়দানের দিকে যান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তবে মিছিল প্যারেড ময়দানে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জানাজা শুরুর ৫মিটিন পূর্বে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের হামলায় জানাজা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবিকে রক্তাক্ত করে সড়কে দৌড়তে দেখা যায় ।

ছাত্রলীগের অভিযোগ, জানাযার অজুহাতে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল গেইট সড়কে প্রকাশ্য মিছিল করে। এসময় বেশ কিছু মুখোশধারীদের মাঠ থেকে পাথর ছুড়তে দেখা গেছে৷

চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র বেলাল বলেন, শিবিরের ছেলেদের মুখে মাস্ক ছিল। জানাজা শেষে প্রথমে তারা ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তবে পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি। পরে আমরা তাদের হাত থেকে ছাত্রদের বাঁচানোর জন্য দলবেঁধে যাই।এ ঘটনায় রাজু ও হযরত তালুকদার রাফি নামে দুই ছাত্র আহত হয়েছে জানান বেলাল।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বলেন,  জানাজা চলাকালীন সময়ে জামাত-শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি দেখে  কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের সাথে ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে কথা কাটাকটিও হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শেরে বাংলা হোস্টেলের সামনে এবং জানাযায় আসা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্যারেড ময়দানে ব্যারিকেডে রেখে জানাযা শেষ করা হয়।

এদিকে জানাজায় আগত জামায়াতের এক নেতা বলেন, জানাজা পড়তে এসে এভাবে হামলায় শিকার হবো জানতাম না। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি আহত হন বলে দাবী করেন। কয়েক দফা পরিকল্পিত হামলার ফলে জানাজায় অংশ নিতে আসা অনেকে জানাজা না পড়ে চলে যায়।

ছাত্রলীগের কলেজ সভাপতি মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন আমরা হামলা করিনি আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন গনমাধ্যমকে জানান, জানাযাকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্যারেড ময়দানের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় জানাযায় আসা জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটিও হয়।

তিনি বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শেরে বাংলা হোস্টেলের সামনে এবং জানাযায় আসা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্যারেড ময়দানে ব্যারিকেডে রেখে জানাযা শেষ করা হয়।

আজ শনিবার ভোরে মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। সকালসাড়ে ৮টায় ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ১ম জানাজা, ২য় জানাজা আইআইইউসি ক্যাম্পাসে এবং ৩য় জানাজা চট্টগ্রাম প্যারেড মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়া তুলাতলী হাইস্কুল মাঠে ৪র্থ জানাজা শেষে থাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হবে বলে জানায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.