শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে জেএমবির ৪ জঙ্গি গ্রেফতার

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি-র চার সদস্যকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।গ্রেফতারকৃতরা হল— মহম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মহম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহসিন, মামুনুর ও আলামিন বাংলাদেশের বাসিন্দা। রবিউল এ রাজ্যের বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকালে শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত এই দু’জনকে জেরা করে পুলিশ আরও দু’জনের খোঁজ পায়। হাওড়া স্টেশন থেকে আলামিন ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিওসহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা পাওয়া গেছে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ রাজ্যসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে টাকা সংগ্রহ করে সেগুলো জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হত। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপ চালাত তারা। জেহাদ সংক্রান্ত প্রচুর ডিজিটাল নথিও পাওয়া গেছে ধৃতদের কাছ থেকে। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। এসটিএফ-এর জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ জানিয়েছেন, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চাইবেন তাঁরা।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে এরা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। তাই ধৃতেরা ভারতে পালিয়ে এসে গা ঢাকা দেয়। ফের বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল তারা। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে।

সম্প্রতি আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের মুখপত্র আমাখ নিউজে বাংলায় এক বিবৃতি জারি করে দাবি করে, খুব শীঘ্রই বাংলায় তারা আসছে। গোয়েন্দাদের ধারণা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ— এই দুই বাংলাতেই নব্য জেএমবি ফের নতুন করে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আইএস-এর প্রত্যক্ষ সাহায্যে নব্য জেএমবি নতুন ‘আমির’ বা সংগঠনের প্রধান নির্বাচন করে এ রাজ্যে সংগঠন তৈরি করার চেষ্টাও করছে তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। সেই সময় অবিভক্ত জেএমবি ছিল। অবিভক্ত জেএমবি-র সুরা কমিটির সদস্য হাতকাটা নাসিরুল্লা। খাগড়াগড় মডিউলের অত্যনতম সদস্য ছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীকালে আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে নাসিরুল্লা এবং জেএমবির বেশ কিছু সদস্য আইএস মতাদর্শী হয়ে নব্য জেএমবি তৈরি করে। তবে নাসিরুল্লা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।খবর বাংলাবাজার পত্রিকা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.