এ দেশের যা কিছু অর্জন সবই আ.লীগের হাত ধরেই এসেছেঃ আমু

0

সিটি নিউজঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সফল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এম.পি বলেছেন, একটি বিশেষ মুহুর্তে আওয়ামী লীগের জন্ম। পাকিস্তান সৃষ্টির সাথে সাথে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের অবজ্ঞা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখে সেদিন পূর্ব বাংলার জনগণকে বঙ্গবন্ধু বুঝাতে সক্ষম হন পশ্চিম পাকিস্তানীরা কখনোই আমাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা প্রদান ও আমাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

তিনি তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৬৬ এর ৬দফা দিয়ে জাতিকে বৃহত্তর ঐক্যর পথে নিয়ে আসেন। ৭০ এর নির্বাচনে জয়লাভ করে বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় জনরোষে দিশেহারা পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে ৭১ এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তিনি বাংলাদেশ দিয়েছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কর্মসূচী গ্রহণকালে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, জন্মলগ্ন হতে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশ ও জনগণের যা কিছু অর্জণ এসেছে। ৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলার রাজনৈতিক আকাশে নতুন সূর্যের উদয় হয় মন্তব্য করে তিনি একজন সৎ নির্ভীক প্ররিশ্রমী বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনার সকল কর্মসূচীর প্রতি এক ও অবিচল থাকার শপথ নেওয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

আজ বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনন্টিটিউশন হলে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মে ও কর্মে সফল একটি দলের নাম। মানুষের চোখের ভাষা বুঝে রাজনীতি করে বলে এই দলটি সবসময় সফলতার পরিচয় দিয়েছে। জনগণ এখনো মনে করে এদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। জনগণের চাহিদা পূরণে জ্বালানী, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের ফলে জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এই আস্থার সাথে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি যোগ করতে হবে। তবেই প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথা চড়া দিয়ে উঠতে পারছেনা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ঐতিহাসিক দল আওয়ামী লীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আয়োজনে মাথা উঁচু করে এখন আমরা বলতে পারি, শেখ হাসিনা নতুন মাত্রায় নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন। একটি দেশকে কিভাবে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হয় শেখ হাসিনা তা দেখিয়েছেন। তিনি বলেন গণতন্ত্রের হত্যাকারীদের গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না মানায়না। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যাবেনা, এই আইন যারা পাশ করে, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে স্বীকৃত রাজাকারের গাড়ীতে যারা বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায়, সংবিধানকে বুটের তলায় যারা তছনছ করে তাদের মুথে গণতন্ত্রের মায়াকান্না দেখে জনগণের মন গলেনা বলেই তাদের মিথ্যা এ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগ টিকে থাকলে বাংলাদেশ ঠিকে থাকবে। দেশ শক্তিশালী হচ্ছে আওয়ামী লীগকেও শাক্তিশালী করে তুলতে হবে। ৭০ বছরে এসে আওয়ামী লীগ এখনো তারন্যের উচ্ছাস নিয়ে রাজনীতি করছে। আওয়ামী লীগ শেকড় জনগনের হৃদয়ে গাঁথা আছে তাই এ দলের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র সফল হয়নি সফল হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সংগ্রামে বিজয়ে গৌরবে ৭০ বছর পার করেছে। এই উপমহাদেশে এই দলের বিশাল বিশাল অর্জণ বিশ্বে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। যে অর্জণগুলো জনগণের অধিকার, উন্নয়ন ও মর্যাদার সাথে সম্পর্কিত। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ জনগণ প্রত্যাশা করে মন্তব্য করে তিনি বলেন আমরা দুঃসময়কে মোকাবিলা করে বর্তমান সময়ে এসেছি, ভবিষ্যৎ এর সোনালী অধ্যায় রচনা করতে আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল কর্মকান্ড পরিচালনা করা আজ সময়ের দাবী।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এড: জসিম উদ্দিন আহমদ খান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস, সহ-সভাপতি এড: এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক এম.পি চেমন আরা তৈয়ব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, আইন সম্পাদক এড: মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড: জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব আবু জাফর, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, কৃষি সম্পাদক এড: আবদুর রশিদ, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, বন বিষয়ক সম্পাদক এড: মুজিবুল হক, তথ্য সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড: কামরুন নাহার, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, সাতকানিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব সিআইপি প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.