রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

0

সিটি নিউজ : পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিসের এমন তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি সভা করেছেন জেলা প্রশাসন।

রোববার ৭ জুলাই বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সভায় জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙ্গামাটিতে ভারী বর্ষণ হতে পারে এতে করে যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে ও কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সর্তক থাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় তিনি সরকারি বেসরকারি দপ্তর সহ সকল স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান।সভায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ লিখেন-‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এমতাবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ও কাপ্তাই লেকের তীরবর্তী স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারসমূহকে সতর্ক থাকার জন্য এবং পার্শ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে অথবা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

অন্যদিকে বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মাইকিংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্র নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য জানানো হয়।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সূত্র মতে, পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে এবছর রাঙ্গামাটি শহরের ৩৩টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকির কথা জেনেও এসব এলাকায় বসবাস করছে অন্তত ৬২৯টি পরিবার।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে প্রবল বর্ষণের পর পাহাড়ধসের ঘটনায় ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় আরো দুই শতাধিক মানুষ। এর এক বছর পার না হতেই ২০১৮ সালের ১২ জুন রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১১ জনের।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.