ভারত ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এর পরীক্ষা চালাল
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারত ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। শত্রু পক্ষের ঘুম ছোটাতে খুব শিগগিরই ভারতের হাতে উঠছে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র এই ‘নাগ’।
আজ রবিবার (৮ জুলাই) রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে এই ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সফল পরীক্ষা করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
শনিবার মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় চালানো তিনটি পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ডিআরডিও-র বিবৃতির বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘রাতের অন্ধকারে এবং দিনের আলোয় এই পরীক্ষা করা হয়েছে রবিবার। তিনটি পরীক্ষাই সফল হয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নাগের অন্তর্ভুক্তি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা যাচাই করে দেখতে সোমবারও একদফা পরীক্ষার কথা ছিল, তবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি ডিআরডিও।
গত বছর প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির (নেমিস) অন্তর্ভুক্তিতে সায় দেয়। ডিআরডিও-ই এই ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা ও নির্মাণ করে। এতে লঞ্চপ্যাড থেকে প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যান রয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, দিনের আলোয় হোক বা রাতের অন্ধকারে, লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
১৯৮০ সাল নাগাদ ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, নাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হলো অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ ও ত্রিশূল। যার মধ্যে অগ্নি, পৃথ্বী এবং আকাশ ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছেছে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।