ঢাকা থেকে তাহমিনাকে প্রেমিকসহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকায় মেডিকেল কোচিং পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই কলেজ ছাত্রী তাহমিনা আকতার নিশু (১৮)কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ তার প্রেমিক ফয়সালকেও আটক করে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)র একটি টিম ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও যাত্রাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে কলেজ ছাত্রী নিশুকে উদ্ধার এবং তার কথিত প্রেমিককে ফয়সলকে আটক করে।

সিএমপির চকবাজার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সিএমপির একটি টিম ঢাকায় রওনা হয়। রাতে তারা যাত্রাবাড়ি ও কেরানীগজ্ঞে অভিযান চালিয়ে নিশুকে উদ্ধার এবং তার সাথের যুবককে আটক করেছে। তাদের নিয়ে পুলিশের টিম রওনা হয়েছে চট্টগ্রামে। টিম আসলে বিস্তারিত জানাতে পারবো। ওসি আরও বলেন, এটা আসলে অপহরণ নয়। প্রেম গঠিত ঘটনা বলে ধারণা করছি।

তাহমিনা আক্তার নিশু প্রতিদিনের মতো গত ৮ জুলাই চকবাজারের একটি মেডিকেল ভর্তি কোচিং-এ আসে মায়ের সাথে। তার মা অভিভাবকদের অপেক্ষমান কক্ষে থাকলেও নিশু কোচিং থেকে মায়ের অগোচরে বেরিয়ে যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনদের বাসা বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে ওই দিন রাতেই তার পিতা তোফায়েল আহমেদ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

৮ জুলাই রাত থেকেই চকবাজার থানা পুলিশ তার সন্ধান শুরু করেন। ৯ জুলাই পুলিশ নিশ্চিত হয় নিশু রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে। সাথে সাথে পুলিশের একটি চৌকস দল রাজধানী চলে যায়। বুধবার (১০ জুলাই) প্রথম প্রহরেই নিশু তার প্রেমিক ফয়সলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়।

উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই চকবাজারে কোচিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে মেয়েটির পরিবার থেকে অভিযোগ তোলা হয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সাধারণ ডায়েরি নং – ৩৯৪।

পরে অভিযোগ করা হয়, অজ্ঞাত একটি ফোন নম্বর থেকে নিশুর মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছে। নিশুর পরিবার জানায় গত সোমবার সকালে নিশু তার মায়ের সাথে কোচিংয়ে গিয়েছিল। সে তার মাকে ভবনের উপরে রেখে নীচে এসে ফোন বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি তার।

পরদিন ওসি নিজাম উদ্দিন বলেছিলেন আমরা জানতে পেরেছি ফয়াসল নামে এক ছেলের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। ফয়সালই তাকে নিয়ে গেছে। এই বিষয়ে থানার সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আমরা তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করি। পরে পুলিশের একটি দল ঢাকায় দিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.