খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ ২০ জুলাই

0

সিটি নিউজঃ  চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, বিনা ভোটের সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত দেশনেত্রীর মুক্তির প্রহর গুনছে। বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ২০ জুলাই চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ হবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ। এই সমাবেশ সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। এতে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার মহাদুর্যোগ অতিক্রম করছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের জোয়ার দেখেনা, মানুষ দেখছে বৃষ্টির পানিতে পুরো চট্টগ্রাম তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। সামন্য বৃষ্টিতেই দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বন্দর নগরী চট্টগ্রাম জলমগ্ন।

বৃষ্টির পানিতে নাগরিক দুর্ভোগ এখন চরমে। জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে বিগত কয়েক বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও দুর্নীতির কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এই প্রকল্পগুলোর দৃশ্যমান সুফল চট্টগ্রামবাসী পায়নি। সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণেই জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চট্টগ্রামবাসী। তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবী জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের ঘোর বিরোধী সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী শেখ হাসিনা গায়ের জোরে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ। অথচ সরকার প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার কর্তৃক বেগম জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসায় বাঁধাগ্রস্থ করা দুরভিসন্ধিমূলক। গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার প্রস্তুতি নিতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অপর নাম বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি আজীবন আপোসহীন। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে সরকার। ২০ জুলাই বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, আশ্রাফ চৌধুরী, সৈয়দ আহমদ, এড. মফিজুল হক, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর. ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ জি এম আইয়ুব খান, শিহাব উদ্দিন মুবিন, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, এড. সিরাজুর ইসলাম চৌধুরী, মাহমুদ আলম পান্না, এইচ এম রাশেদ খান, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, নুরুল আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, মোহাম্মদ আলী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, থানার সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মো. সালাহ উদ্দিন, আবদুস সাত্তার সেলিম, কাউন্সিল মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, মো. সেকান্দর, সরফরাজ কাদের রাসেল, হানিফ সওদাগর, সহ-সম্পাদকবৃন্দ সালাহ উদ্দিন কায়সার লাবু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহাজাহন, রেহান উদ্দিন প্রধান, এড. নেজাম উদ্দিন খান, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, ডা. লুসি খান, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.