চন্দনাইশে সড়ক,ফসলি জমি ও মৎস খামারে ব্যাপক ক্ষতি

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : চন্দনাইশ উপজেলায় এক সপ্তাহ ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ভাসার পর গত ১৫ জুলাই রাত থেকে বিভিন্ন লোকালয়ে পানি কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে শঙ্খনদের পানির বাঁধ ভাঙ্গা পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বহু রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর পানি নামতে শুরু করলে রাস্তা গুলো ছিন্নভিন্ন চেহারা এখন মানুষের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। চন্দনাইশ উপজেলার পরিদর্শন করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরকল ইউনিয়ন পরিষদ, বরমা, দোহাজারী পৌরসভা, চন্দনাইশ পৌরসভা, সাতবাড়িয়া, হাশিমপুর,বৈলতলী, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা ও দুর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নের প্রায় সকল গ্রামীণ সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।এছাড়া আরো নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।ভয়াবহ এ বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক। টানা ৬ দিন ধরে গ্রামের বিস্তীর্ণ সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে থাকায় কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত।

সড়কের ওপর থেকে পানি নেমে গেলেও রেখে গেছে মারাত্মক ক্ষতচিহ্ন। অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় রিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।ফলে জনজীবন এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

ইতোমধ্যে বরকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, এলাকায় সরকারী ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।এদিকে গাছবাড়িয়া-চন্দনাইশ-বরকল(শহীদ মুরিদুল আলম সড়ক) জেলা সড়কের সাতঘাটিয়া পুকুর পাড় থেকে বরকল ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক ক্ষতি। গ্রামের ভিতরে প্রায় ৫৫ শতাংশ সড়ক ক্ষত বিক্ষত। গ্রামের বিস্তীর্ণ সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে থাকায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকদের উৎপাদিত সবজির ক্ষেত।

তিনি আরো জানান,আউশের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এ মৌসুমে কৃষকরা নতুন করে আর আউশ ধানের চাষ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।এদিকে বরকলে ৫ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি মাছের প্রজেক্টও ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।ফলে এ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হাবিবুর রহমান বলেন, লালুটিয়া থেকে চানখালী পর্যন্ত যদি বিকল্প বেড়ি বাধ নির্মাণ করা হয় তাহলে বরকল-বরমা-বৈলতলী মানুষ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।

এদিকে উপজেলায় বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ নজরুল ইসলাম চৌধুরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন। এছাড়া চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রামের উদ্যোগেও বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.