আওয়ামী লীগ ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়ংকরঃ গয়েশ্বর রায়
সিটি নিউজ ডেস্কঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ ভয়ংকর বলে বন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ডেঙ্গু বনাম খুন-গুম-নারী নির্যাতন প্রতিযোগিতায় সরকার শিরোপা অর্জন করেছে। সরকারের নির্যাতনই এগিয়ে থাকবে। গুম-খুন-নারী নির্যাতনে লাশের মিছিল অনেক বড়, এর সঙ্গে জড়িতরা ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ।
আজ শনিবার (৩ আগষ্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবণতি: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খুন-গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত, শিশু অপহরণে যারা জড়িত তারাই ভয়াবহ ডেঙ্গু। এই ডেঙ্গুর হাত থেকে সাধারণ মানুষের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা করতে আরও বেশি কঠিন ও কঠোর অবস্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে নামতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু জাতীয় সমস্যা। প্রতিটি মানুষের সমস্যা। এডিস মশা আওয়ামী লীগকেও চেনে না, বিএনপিও চেনে না, সরকারি দল, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ধনী, গরিব চেনে না। এদের সুযোগ দিলে সুযোগটা পায়। তাই ডেঙ্গু সমস্যার সমাধান মিলে-মিশে করতে হবে, সম্মিলিতভাবে করতে হবে।
ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়নহীনতার সমালোচনাও করেন তিনি। ডেঙ্গুকে একটি ‘জাতীয় সমস্যা’ হিসেবে অভিহিত করে এ ব্যাপারে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গয়েশ্বর।
সিটি করপোরেশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ এখন রসিকতা করে দুই সিটি করপোরেশনকে সিটি করাপশন বলে। সিটি ভবন মানে করাপশনের আড্ডাখানা। প্রতি বছর মশা মারার নির্ধারিত বাজেট আছে। মশা মারার একটা প্রকল্প আছে। তাদের সুনির্দিষ্ট বিভাগ, কর্মকর্তা-কর্মচারি আছে। প্রতি বছর ঔষধ কেনা হয়। তবে বাজেট লুটপাটের কারণে মশার প্রকট থেকে মানুষ রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র কিংবা সংবিধান কোনটাই নেই। একজনের কথায় সব চলে। কেউ মারা গেলেও তা ঘোষণা দিতে তার অনুমতি লাগবে। কে কোন দলের সভাপতি হবেন, কে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হবেন তাও তিনি ঠিক করেন। এখন দেশের সব দলের সভাপতি হয়ে তার কথামতো সবাইকে রাজনীতি করার জন্য আইন করলে সবটাই পরিপূর্ণ হবে।