মোদীকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দিচ্ছে আমিরাত

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অর্ডার অফ জায়েদ’ দিচ্ছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থার বরাতে গালফ নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরাতের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্যই মোদীকে এই বিশেষ সম্মান দেয়া হচ্ছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আগামী ২৩ আগস্ট দেশটিতে তিনদিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি। তিনদিনের এ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেয়া হবে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।

আগামী ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট আমিরাত সফরকালে আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

গত এপ্রিলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান জানিয়েছিলেন,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাই ‘প্রিয় বন্ধু’ মোদীকে এই সম্মাননা দেয়া হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়ে থাকে। তার জন্মশতবর্ষের পুরস্কারটি পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এ বছর এপ্রিল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ ঘোষণা করেন, তাঁর ‘প্রিয় বন্ধু’ মোদিকে এই সম্মান দেওয়া হবে। আবুধাবির যুবরাজ টুইট করে বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক যোগাযোগ রয়েছে। আমার প্রিয় বন্ধু মোদি সেই যোগাযোগ দৃঢ়তর করে তুলেছেন। এই অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট তাঁকে জায়েদ পদক প্রদান করবেন।’’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২৩ ও ২৪ আগস্ট আমিরাত সফরে যাবেন মোদি। তখনই তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে।

২০১৮ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছিল। এর আগে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এবং ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফওয়েরকি ‘অর্ডার অফ জায়েদ’ পেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যখন পাকিস্তান গোটা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে, তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে মোদীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও কাশ্মীরের বিষয়টিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মোদী সরকারকে প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক রাখে। দেশটিতে ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যাও প্রচুর। বলা হয়ে থাকে, প্রতি তিনজন আমিরাতির মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক।

গত বছর ভারতের সঙ্গে আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ ভারত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.