কুমিল্লায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের দাফন সম্পন্ন

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ ও ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের (৯৮) রোববার সকাল ১০টায় কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে তার জানাজা হয়।এর পর বাদ জোহর নিজ জন্মভূমি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) একাংশের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গত শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জানাজায় নামাজ পড়ান জাতীয় সংসদ ভবন মসজিদের ইমাম মাওলানা ক্বারী মো. সাইফুল্লাহ।

জানাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিপিবি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।এ সময় ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

তার মৃত্যুর পর রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় ন্যাপ অফিসে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর বেলা ১২টায় তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার জন্ম ১৯২২ সালে। ১৯৩৭ সালে রাজনীতিতে অংশ নেন। এই রাজনীতি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মোজাফফর আহমদ দেবীদ্বার থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তদানীন্তন মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রী মফিজুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।

১৯৬৮ সালে ন্যাপ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একভাগ মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে থাকলেও অন্য অংশ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে আলাদা হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.