পটিয়ায় প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে প্রেমিক খুন
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া কোলাগাঁও ইউনিয়নে চাপড়া গ্রামে প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে প্রেমিক পলাশ খুন হয়েছে। এ খুনের ঘটনায় প্রেমিকার কাকাতোভাই, কাকা ও ভাইসহ ১০/১৫ জন খুনে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
পটিয়া থানা পুলিশ প্রেমিকা শিখা দে (১৮) কে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দেন সে কোলাগাঁও ইউনিয়নে চাপড়া গ্রামে হিন্দুপাড়ার কানাই দে এর কন্যা গত শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায় তার মোবাইল ফোনে মাধ্যমে প্রেমিক পলাশকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়। তাতে প্রেমিকা বিষয়ে প্রেমিক পলাশকে খুন করে রাস্তায় ফেলে যায় তার স্বজনেরা পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোলগাঁও ইউনিয়নের কালাপোল এলাকায় যমুনা ড্রিম জইং কারখানায় একই সাথে শ্রমিকের কাজ করতেন কামরুল হাসান পলাশ নোয়াখালী সদর উপজেলা আবদুল্লাহ পূর্ব মিয়া বাড়ীর নলপুর গ্রামের জহিরুল হকের পুত্র ও চাপড়া গ্রামের শিখা দে।
তারা দুজন শ্রমিকের চাকুরী করতেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে তাতে শিখা দের স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমিককে ডেকে নিতে বাধ্য করে। পরে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেয়।
গত শনিবার সকালে পটিয়া থানা পুলিশ কোলাগাঁও ইউনিয়ন চাপড়া গ্রামের শীল পাড়ার এলাকা থেকে অজ্ঞাত নামা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
পটিয়া থানা ওসি (তদন্ত) জাব্বারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিকা শিখা দে জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় তার মোবাইল ফোনে ডেকে নিতে বাধ্য করে তার স্বজনেরা এর পর রাত ১১ টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে সেখানে পলাশকে একটি কক্ষে রাত ১২ পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করে। এ সময় প্রেমিকা কান্নাকাটি করলে এবং পলাশের সাথে কোন সর্ম্পক রাখবে না পলাশকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পরে শিখা দে ঘরে চলে যায় ছেড়ে দেয়ার নাম করে প্রদান সড়কে নেওয়ার পর তাকে কুপিয়ে হত্যা করে হয়।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিহতের স্বজনেররা কোন মামলা দায়ের করেননি। তবে পুলিশ বাদি হয়ে ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার দায়ের প্রস্তুুতি চলছে।
দোষী ব্যক্তিদের ধরে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।