টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ২ রোহিঙ্গা নিহত

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই দুই রোহিঙ্গা নিহত হন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুইজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হ্নীলার জাদিমুরায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন: হ্নীলা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা জমির আহমদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) এবং একই শিবিরের বাসিন্দা ছৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ প্রকাশ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭)।

এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, জাদিমুরা চাইল্ড ফ্রেন্ডলি স্পেস কার্যালয়ের পিছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকের নিচে একদল রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসী’ অবস্থান নিয়েছে- এমন খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল।

সেসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘সন্ত্রাসীরা’ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন গুলির শব্দ শুনে এগিয়ে এলে ‘সন্ত্রাসীরা’ পালিয়ে যায়।

“ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দুজন ‘সন্ত্রাসী’ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে” উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।”

ভোর পাঁচটার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তিনি আরো বলেন, গোলাগুলিতে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক (এলজি) এবং সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত দুজনকে ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে ওসি বলেন, তারা হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাসহ পাঁচটি মামলার পলাতক আসামি।

তিনি আরো বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই পর্যন্ত ওমর ফারুক হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচ অভিযুক্ত আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলেন। নিহতদের সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.