চট্টগ্রামে আধুনিক কসাইখানা নির্মাণে সমঝোতা স্মারক শিঘ্রই

0

সিটি নিউজঃ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধুনিক কসাইখানা নির্মাণে শিঘ্রই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে । ঔদিন নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও থানা এলাকায় ৮৮ শতক জায়গা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরাবরে বর্ণাঢ়্য অনুষ্ঠানের মধ্যে হস্তান্তর করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। চসিকের এই জায়গার উপর এশিয়ার সবচেয়ে বড় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত কসাইখানা নির্মিত হবে।

আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাইগারপাস সিটি মেয়রের কার্যালয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে প্রকল্প পরিচালক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানা যায়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রজেক্ট পরিচালক পার্থ প্রদীপ সরকার, বিভাগীয় উপ পরিচালক চট্টগ্রাম ডা. ফরহাদ আলী, প্রকল্পের চীপ টেকনিক্যাল কো-অডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রেয়াজুল হক প্রমুখ।

মন্ত্রণালয়ের লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলডিডিপি) আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের তিনটি স্থানে আধুনিক কসাইখানা নির্মিত হবে। এ আধুনিক কসাইখানা প্রকল্পে মোট প্রকল্প ব্যয় ৪ হাজার ২শত কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক এ অর্থ যোগান দেবে। তবে চট্টগ্রামে নির্মিতব্য কসাইখানার জন্য খরচ হবে ৮৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে ১ ঘণ্টায় একসঙ্গে ১০০ পশু জবাই করা সম্ভব হবে। অপেক্ষায় রাখা যাবে ৩০০ পশু।

যততত্র পশু জবাই করলে রোগ ছড়ায়। কসাইখানায় যোগ্য পশু জবাই করা হবে। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে অর্থাৎ হালাল ভাবে পশু জবাই, প্রয়োজনে জবাইকৃত পশুর মাংস ফি্িরজং এ রাখার সুব্যবস্থা, পশুর রক্তকে পোলট্রি ফিডে রূপান্তর করা এবং অন্যান্য বর্জ্যগুলো শতভাগ রিসাইক্লিং ও ইটিপি করা হবে। এটাই হবে হাইজিনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান। আধুনিক কসাইখানাকে ঘিরে নগরীতে গবাদি পশু সংক্রান্ত একটি বড় মাপের ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলা হবে। এতে থাকবে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আইসোলেশন, পশুর খাবার, স্মার্ট স্টকিং স্পেস সুবিধা, প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, রক্ত ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শৃংখলা, এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন ও জবাই এরিয়া করা হবে।

পশুর নাড়িভূড়িসহ শিং ফেলে না দিয়ে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা থাকবে এই কসাইখানার আওতায়। এখানে পশু জবাই করার আগে একজন চিকিৎসক সে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা , জবাই এর পর এর মাংসও পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও থাকবে এ প্রকল্পে। মতবিনিময় কালে সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে একাধিক কসাইখানা আছে।

তবে মানসম্মত কোনো কসাইখানা নেই। অথচ আইনে স্বাস্থ্যকর কসাইখানায় পশুর জবাইয়ের ব্যাপারে বাধ্যবাদকতা আছে। তারপরও নগরে নির্ধারিত চসিকের কসাইখানায় পশু জবাই না করে যত্রতত্র পশু জবাই করা হয়। পশু জবাই এর শৃংখলা আনায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই কসাইখানা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এই জন্য সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.