চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে ঈদুল আযহা আজ

0

সিটিনিউজবিডি : চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। এসব গ্রামের একটি নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারীরা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে পশু কোরবানি দেয়ার মত পালন করা হচ্ছে ঈদুল আযহা।

সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব পরিবার বাংলাদেশে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছে।

প্রচলিত নিয়মের আগে ঈদুল ফিতর উদযাপনকারীদের অধিকাংশই দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা।

চন্দনাইশ উপজেলার ৪ নম্বর বরকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে কয়েকটি পরিবারে কোরবানি দেয়া হয়েছে। চন্দনাইশের আরও চার-পাঁচটি ইউনিয়নে ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। সাতকানিয়ায়ও হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা তাদের পীরের নির্দেশ অনুসারে দশকের পর দশক ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছে।

সাতকানিয়ার- মির্জাখীল, গাটিয়াডাঙা, মাদার্শা, চন্দনাইশের- কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর- কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার- বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার- পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কিছু এলাকাসহ চট্টগ্রামের মোট ত্রিশটি গ্রামের মানুষ শুক্রবার ঈদুল আযহা উদযাপন করছে।

প্রায় দু’শ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহঃ) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানী পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ন পালন করে আসছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.