অনলাইন বেটিংয়ে চলছে কোটি টাকার লেনদেন

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ক্রীড়াঙ্গন

0

ক্যাসিনোতে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে খেলার ঝামেলা এড়াতে অনেকেরই পছন্দ অনলাইন বেটিং। যদিও নানা সমালোচনার পর ২০১৬ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিন দফায় এ ধরনের ১৬৮৮টি সাইট বন্ধ করেছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

তবে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করা হলেও এখনও বহাল তবিয়তে চলছে এমন অনলাইন জুয়ার আসর। সামাজিক মাধ্যমে যা বেটিং নামে পরিচিত।

গত কয়েকদিনে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে ক্রীড়াঙ্গন জড়িয়ে পড়লে আবারও টনক নড়ে প্রশাসনের। নানা অনুসন্ধানের পর দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন বেটিংয়ের কান্ট্রি হেড পদে থাকা সেলিম প্রধানকে আটক করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় তার নিয়ন্ত্রণে থাকা অনলাইনে বেটিংয়ের ২টি ওয়েবসাইট। তার বাসা থেকে, নগদ দেশি-বিদেশি মুদ্রা, পানীয়সহ অনলাইন ব্যাটিং টি-টোয়েন্টি ফোর ও টি-টোয়েন্টি ওয়ান নামে দুটি অ্যাকাউন্টের সফটওয়্যার জব্দ করে।

তবে এতো কিছুর পরও থেমে থাকেনি অনলাইন জুয়ারিদের কার্যকলাপ। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে বাকিরা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যকলাপ। শুধু তাই নয়, ভিপিএন ছাড়াও এখন ব্যবহার করা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি অনলাইন বেটিং সাইট। এগুলোতে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকেই অনায়াসে জুয়া খেলা যায়। এসব ডিজিটাল বেটিংয়ের লেনদেন হয় ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড বা বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে। এমন কি অর্থ লেনদেনে অনেকেই দেশিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রক্রিয়াও ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশে ১৮৬৭ সালে ‘জুয়া খেলার শাস্তি’ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেখানে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এই শাস্তি আরও কঠোর হওয়া উচিত। পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ছাড়া জুয়ার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন বলেই মানছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

সূত্র : যমুনা টিভি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.