আওয়ামী দু:শাসনের মাত্রা লাগামহীন হয়ে পড়েছে

0

সিটি নিউজঃ বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেছেন, মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের মাত্রা যেন লাগামহীন হয়ে গেছে। স্বৈরাচারী সরকার দেশের প্রতিবাদী মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করে দেশকে ভীতিকর অবস্থায় নিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যাতে সরকারের অপকর্ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ লিখতে বা বলতে সাহস না পায়।

তিনি বলেন, বিশ্বের গণধিকৃত সকল স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন সরকার এখন মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে। তারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আওয়ামী সরকারের দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদ করায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করেছে। দেশে এখন জঙ্গলের শাসন চলছে। আমরা যেম এক মৃত্যু উপত্যকায় বসবাস করছি। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলকে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আন্দোলন বেগবান করতে হবে।

তিনি আজ ১১ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে নগরীর একটি কমিউনিটি হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির প্রথম পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহবায়ক আবু সুফিয়ান’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশিদ।

সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ জিয়ার হাতেগড়া সংগঠন বিএনপি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দল। বিএনপি নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। তাই বিএনপিকে বার বার এদেশের মানুষ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।

শীঘ্রই দলকে সুসংগঠিত করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার আন্দোলন বেগবান করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হুমকীর মুখে পড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশবিরোধী চুক্তি ও সীমান্তে হত্যা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে আবু সুফিয়ান বলেন, এ সরকার জনগণের পক্ষে কথা না বলে প্রতিবেশী দেশের তাবেধারী করছে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই বিএনপির প্রাণ শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল স্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে এমনভাবে পুনর্গঠন করা হবে যা সারাদেশের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ। এ লক্ষ্যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলাসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

পরিচিতি সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা বন্দরের ইজারা প্রদান ও গ্যাস রপ্তানী চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ভারতের সাথে সম্পাদিত সকল অসম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, অন্যথায় বাংলাদেশের জনগণ দেশবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, সরকারের আশকারায় যুবলীগ ছাত্রলীগ দেশব্যাপী লাগামহীন খুন, ধর্ষণ ও লুটপাটে মেতে উঠেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে, সরকার দেশের মানুষের প্রতিবাদী কন্ঠকে নির্মূল করে হিটলারি শাসন বজায় রাখতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাসনা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না।

হারুনুর রশিদ বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের হিংস্ররূপ দেশের মানুষকে বোবা করে ফেলেছে। অজানা আশঙ্কা, আতঙ্ক আর ভয়ের এক বিষাদময় পরিবেশ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। মতপ্রকাশ ও স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ গর্জে ওঠবে।

সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী আব্বাছ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোশারফ হোসেন, শহিদুল আলম বুলবুল, এম রহিম, নুরুল আনোয়ার, এড. মো. ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এহসান এ খান, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়, নাজমুর মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক মোজাফফর আহাম্মেদ টিপু, লিয়াকত আলী, অ্যাড. নূরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর,

বোয়ালখালীর মেয়র আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু মো. নিপার, অ্যাড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম সওদাগর, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবা উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী রফিক, নবাব মিয়া, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, এহসানুল মাওলা, নূরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়া উদ্দিন আশফাক, সাজ্জাদুর রহমান, লোকমান হোসেন মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এড. আবুল কাসেম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.