ক্যাসিনোর টাকা পেতেন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও প্রকৌশলী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ আলোচিত ক্যাসিনো ও জুয়া বাণিজ্যের টাকার ভাগ পেতেন কমপক্ষে ৫০ জন ব্যক্তি। এরা জিকে শামীম, সম্রাট ও খালেদ ভুইয়ার অবৈধ টাকার ভাগ নিতেন নিয়মিত। এই তালিকায় রয়েছে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, পুলিশ ও প্রকৌশলীর নাম। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। অর্থপাচারের ৯টি মামলার তদন্তে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তালিকায় নাম আসা কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হন খালেদ, সম্রাট ও জি কে শামীম। র‍্যাব উদ্ধার করে প্রায় দুইশো কোটি টাকা ও মাদকদ্রব্য। এরপর গেন্ডারিয়া থেকেও অবৈধ টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব।

প্রশাসনের সহায়তা ছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসা চলছে না, শুরু হয় এমন সমালোচনা। এর পরপর মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক, গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের এডিসি জুয়েল রানা ও মতিঝিল বিভাগের এডিসি শিবলী নোমানকে বদলি করা হয়।

এখানেই থেমে থাকেনি তদন্ত। এত বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়। ৯ মামলায় আটক হয়েছেন ১৫ থেকে ২০ জন, বিদেশে পালিয়ে গেছেন ৫ থেকে ১০ জন।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নজরদারিতে আছেন ১৫ থেকে ২০ জন নেতা, ৪-৫ জন ব্যবসায়ী ও প্রকৌশলী ১১ জন। এদের মধ্যে ৪ জন তত্ত্বাবধায়ক, ৫ জন নির্বাহী, ১ জন উপ-বিভাগীয় ও ১ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানালেন, যাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাদের দেশের ভেতরে ও বাইরের ব্যাংক হিসাবে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।সিআইডি বলছে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টাও করা হচ্ছে।

অর্থপাচারের প্রমাণ পেলেও তার পরিমাণ কত, সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া কোন কোন দেশে পাচার হয়েছে সেটাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

গোয়েন্দ সূত্র জানায়, ক্যাসিনো ও জুয়ার সাথে জড়িতদের সহযোগীদেরও খোঁজা হচ্ছে। দেশ ছেড়ে যাতে পালাতে না পারে অভিযুক্তদের নামে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.