ঈদ জামাতে মুসুল্লিদের ঢল চট্রগ্রামে

0

সিটিনিউজবিডি : আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ত্যাগের মহিমায় এবং যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। যথারীতি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়েই সকালে শুরু হয় ঈদুল আযহার আনুষ্ঠানিকতা।

চট্টগ্রাম নগরীতে এবার সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ২৪৭ টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ১৫৫টি স্থানে এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ৯২টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নগরীতে ঈদুল আযহার প্রথম জামাত হয়েছে সকাল সাড়ে সাতটায় আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সকাল আটটায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল নয়টায়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল আটটায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে আয়োজিত ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালালউদ্দিন আল কাদেরি। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি সহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লীর সমাগম ঘটে।unnamed (3)

সেখানে নামাজ আদায় করেছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠসহ আরও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও সাধারণ মুসল্লীরা।

নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মুসল্লীরা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গণ করেন। এসময় রাজনীতিকরা পবিত্র ঈদুল আযহার মর্মবাণী ত্যাগের মহিমা হৃদয়ে ধারণ করে আত্মশুদ্ধ হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন এবং জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রতি ঈদে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে নামাজ আদায় করেন সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এবং সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এবার মহিউদ্দিন হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিআরবে অবস্থান করছেন এবং নোমান আছেন ঢাকায়।

নামাজ আদায়ের পরপরই নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, রাস্তায় মাঠে, বাসাবাড়ির সামনে কোরবানি শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবার ৭০টি স্থান কোরবানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব স্থানে পশু কোরবানির জন্য কাউকে বাধ্য করা হবেনা।

এদিকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সকাল থেকে প্রস্তুত দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশনের সেবক ও গাড়ি।

ঈদ উপলক্ষে নগর ভবন সহ নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার,এতিমখানা এবং জেলা প্রশাসনের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত চট্টগ্রামের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.