চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার সংগ্রামী দূর্গের ঠিকানা

0

মোস্তাক আহমেদ,সিটি নিউজ : রাজনীতির ময়দানে চট্টলবীরের সংগ্রামী জীবন ইতিহাস কার না জানা। রাজনীতির “বড় হুজুর”খ্যাত এ বীরের চলার পথের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ কৌশলে নিভিয়ে দিয়ে নিজেই পথের সারথিদদের নিয়ে দুর্বার গতিতে শুধুই লক্ষের দিকে ছুটে চলেছেন।

*একবার ভাবুনতো ১৯৯৬ সালে দেশব্যাপী অগ্নিঝরা আন্দোলনের সময় চট্টলবীর যদি চট্টগ্রামে কারফিউ হরতাল ঘোষনা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সম্পূর্ণভাবে অচল করতে না পারতেন তাহলেকি কি এত সহজে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মসনদে বসতে পারতো —–?

* ১৯৯৬ – ২০০০ সালের মধ্যে খোদ দলীয় সরকারের শাসনামলে “এস এস এ” নামক একটি আমেরিকান ভূঁয়া কোম্পানিরর নামে সাগরপথে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা বন্ধ করেছিলেন এ নেতাই–+। যার খেসারত পরবর্তী পর্যায়ে তাকে অনেকভাবে দিতে হয়েছে। দেশপ্রেমের স্বার্থে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শক্তিধর রাষ্ট্রের হুমকিতেও মাথা নত করেননি।

* ২০০৪-২০০৫ সালের মধ্যে কর্ণফুলী নদীতে ঝুলন্ত ব্রীজের দাবীতে নির্মানাধীন শাহ আমানত সেতুর মুখে কন্টেইনারে অফিস ও পাশে সমাবেশস্থল তৈরী করে আন্দোলন শুরু করেন মহিউদ্দন চৌধুরী। ৪দলীয় জোট সরকার তার সে দাবী মেনে নিলে আজ চট্টগ্রাম বন্দর চরমভাবে নাব্যতা সংকটে পড়তনা। যে কারনে কর্ণফুলী নদী ক্রমশঃ ভরাট হয়ে অশনী সংকেত দেখা দিয়েছে।

* ২০০৫ সালে চার দলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে মাত্র এক সপ্তাহ সময় নিয়ে চট্টগ্রামের আউটার ষ্টেডিয়ামে ২০লাখ লোকের সমাবেশ করে সরকারের ভীত নেড়ে দিয়েছিলেন জননেতা মহিউদ্দন চৌধুরী আর কেউ না। মনে না রাখলেও সবারই জানা আছে——

* আজকের দিনে যারা এমপি মন্ত্রী তাদের এমন কেউ নেই যে যিনি বা যে নেতার অনুকম্পার জন্যে তার ঐতিহাসিক চশমা হিলের বাসায় যাননি। বেগম মহিউদ্দিন চৌধরীর আতিথ্য গ্রহন করেন নি —-+?

* চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালীন তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে স্বাবলম্বী করে যা করতে পেরেছিলেন এর পরবর্তী পর্যায়ে চট্টলবাসী কি আর কোন উন্নয়ন দেখতে পেয়েছে —— ?

* রাজনীতিতে শত মত পার্থক্য থাকলেও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে তার বাসায় কিংবা মাঠে ময়দানে শত শত মিটিং হয়নি—-? দুই নেতা পাশাপাশি বসেননি—- ? তখন কি কোন হৈ চৈ হয়েছে —-?
তাহলে আজকে কেন তার স্তীকে অপমান সইতে হচ্ছে—-? তদুপরি তিনিতো মহিলা আওয়ামীলীগের মহানগর সভাপতি।

* নাসির ভাইকে মনে রাখতে হবে তার পদে পদে শত বাধা বিঘ্ন পার করেই তিনি আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছেন। তার উত্থান কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।তেমনিভাবে বেগম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সম্মান দেখালে নাসির ভাইএর অতটুকু সম্মানও নষ্ট হতোনা বরং বহুগুন বাড়ত।

* আমার ন্যায় আরো দশজনের মতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার রাজনীতির ময়দানে দীর্ঘ মেয়াদী সংগ্রামের ইতিহাস আর সে সাথে বেগম মহিউদ্দিন চৌধুরীও একটি অংশ।

আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে বিশ্বাস করি তারা চায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আর এমনটি কখনো হবেনা।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন,সিইউজের সাবেক সভাপতি ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.