পাকিস্তানে ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৬৫

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানে একটি চলন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাওয়ালপিণ্ডি থেকে করাচি যাচ্ছিল ট্রেনটি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ট্রেনের ভেতর চুলা জ্বালিয়ে রান্নার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে তা থেকে ট্রেনে আগুন ধরে যায়। খবর রেডিও পাকিস্তান।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে বাঁচতে অনেকেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে গেছে। পাঞ্জাব প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন ৬৫ জন ট্রেনযাত্রী। নিহতরা সবাই তেজগাম এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন।

লিয়াকাতপুর শহরের কাছে তেজগাম এক্সপ্রেসের বগিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ৩০ জনের বেশি মানুষ আহত বা দগ্ধ হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিলিন্ডার ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু যাত্রী চলন্ত ট্রেনে খাবার তৈরি করছিলেন। তখনই তাঁদের রান্নার সময় সিলিন্ডার ফেটে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনটি কামরায়।

দুর্ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে উদ্ধারপর্ব। প্রত্যক্ষদর্শী এবং উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য ট্রেন থেকে লাফ দিয়েও প্রাণ হারিয়েছেন অনেক যাত্রী।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আহতদের জন্য সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জিও টিভিকে জানিয়েছেন, ট্রেনের মধ্যে রান্নার সময় দুটি চুলায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তা থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েই অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলার উদ্ধার অভিযানের প্রধান বাকির হুসেইন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রেলমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ সময় দীর্ঘপথে যাত্রায় অনেক যাত্রীই ট্রেনে রান্নার চুলা নিয়ে যাতায়াত করেন যাতে তারা খাবার রান্না করে খেতে পারেন।

এর আগে গত জুলাইয়ে আরও একটি দুর্ঘটনায় ১১ জন এবং গত সেপ্টেম্বরে অপর একটি দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া ২০০৫ সালে সিন্ধু প্রদেশের একটি স্টেশনে দু’টি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.