চবিতে হয় ভর্তি নিন না হয় বিষ দিন

0

সিটি নিউজঃ “হয় ভর্তি নিন না হয় বিষ দিন” চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে উন্নীত হয়েও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আন্দোলে নেমেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন কর্মসূচীতে এ আকুতি নজর কেড়েছে সবার। গতকাল তারা চবি ক্যাম্পাসে মানব বন্ধন করেছে। তারা জানান, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা থাকা পরেও ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (মান উন্নয়ন) করে আবারো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণদের ভর্তির সুযোগ দানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভর্তিচ্ছুরা।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মানববন্ধন করে তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিলে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের অনুমতি দেয়।

মানববন্ধন চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত পোস্টার প্রদর্শন করেন। এতে লেখা ‘কাঁদতে আসিনি, যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হতে এসেছি’, ‘গত বছরের যোগ্যরা এবার মানোন্নয়ন দিলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না সার্কুলারে উল্লেখ নাই’, ‘আমাদের মেধা, পরিশ্রম, সময়, টাকার কেন মূল্য নেই? চবিতে হয় পড়ব, না হয় মরব’, ‘একটি বছর বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজিয়ে ছিলাম, এই দিনটি দেখার জন্য নয়’, ‘হয় ভর্তি নিন না হয় চবির মাটিতে কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি নিন’।

আন্দোলনকারীরা বলেন, মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদন যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অস্পষ্টতা ছিল। শিক্ষার্থীরা যোগ্য না হয় তবে বিশ^বিদ্যালয়ে অনলাইন আবেদনে ১১ হাজার ৭৪১ জন মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। এরপর তাদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রবেশপত্রও সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়ার পর জানতে পারে তারা ভর্তি অযোগ্য।

যদি ভর্তি অযোগ্যই হয়, তবে কেন তাদের পরীক্ষা অংশ নেওয়া বা মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘ওরা আমার কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। তাদেরকে বলে দিয়েছি যে তারা প্রত্যেকে যেন মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের দরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা দেয়, তা বলা হয়েছে।’ তবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ওরা আমার কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছে। তাদের প্রত্যেকে আগামীকাল (আজ) অফিস চলাকালীন তাদের দরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা দিতে বলেছি।

এদিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন এবং প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতৃবৃন্দরা। এজন্য ছাত্র ইউনিয়ন থেকে দুই দফা দাবি ও একটি অনুরোধ উত্থাপন করে প্রক্টর বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে হুমকি দেন তারা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.